সিঁথিকাণ্ডের তদন্তে জোর, SI-কে জেরার প্রস্তুতি গোয়েন্দাদের, ফরেন্সিক ল্যাবে থানার CCTV ফুটেজ
মূল অভিযুক্ত পুলিস অফিসারকে জেরা করতে পারেননি গোয়েন্দারা। কারণ ঘটনার পর থেকেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিঁথিকাণ্ডের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও, মূল অভিযুক্ত পুলিস অফিসারকে জেরা করতে পারেননি গোয়েন্দারা। কারণ ঘটনার পর থেকেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গতসন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সাব ইন্সপেক্টর সৌমেন্দ্র মোহন দাস। এবার তাঁকে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ইতিমধ্যেই সিঁথি থানার সবকটি সিসিটিভির ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবে। দেখা হবে, এদিন ঘটনার কোনও ফুটেজ বিকৃত করা হয়েছে কিনা।
আরও পড়ুন: সিঁথিকাণ্ডে নয়া মোড়, নিহতের ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর পুলিসের
ঘটনার সূত্রপাত, ১০ ফেব্রুয়ারি। এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ চুরির অভিযোগ সিঁথি থানায় নিয়ে আসা হয় কাগজকুড়ানি আশুরা বিবি ও বাহান্ন বছরের রাজকুমার সাউকে। এরপর লকাপেই মৃত্যু হয় রাজকুমারের। ঘটনায় মৃতর পরিবারের অভিযোগ, থানায় পুলিসের মারধরে মৃত্য়ু হয়েছে প্রৌঢ়র। এদিন রাত থেকেই এরপরেই দফায় দফায় থানার সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। রাজনৈতিক রং লাগে ঘচনায়। রাস্তায় নামে বিজেপিও।
আরও পড়ুন: একদিন পর খোঁজ মিলতেই সিঁথি থানা কাণ্ডে বয়ান বদল প্রত্যক্ষদর্শী আসুরা বিবির
এরপর ঘটনায় একাধিক নয়া মোড় এসেছে। ঘটনার পরই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় প্রত্যক্ষদর্শী আশুরাবিবি। তাঁর বয়ানেও মিলেছে অসংগতি। পাশাপাশি পুলিসের বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার অভিযোগ তোলে মৃতর পরিবার। মৃত রাজকুমার সাউয়ের ছেলের দাবি, ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তোলা দাবি করা হয়েছে তাঁদের কাছে। অন্যদিকে নিহতের ছেলের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করে পুলিসের। সবমিলিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে সিঁথিকাণ্ডে।