যোধপুর পার্কে বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যুতে মূল চক্রী প্রতিবেশী, ডায়েরির সূত্র ধরে কিনারা করল পুলিস
মালি ও নিরাপত্তারক্ষীকে জেরা করেই দেবাশিসের খোঁজ পায় পুলিস। দেবাশিসের নজর বৃদ্ধার তিন হাজার বর্গ ফুটের ফ্ল্যাটটির ওপর ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যোধপুর পার্কে বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যুর কিনারা করল পুলিস। গ্রেফতার করা হল ওই আবাসনেরই এক বাসিন্দাকে, যিনি বৃদ্ধার প্রতিবেশী। ধৃতের নাম দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। পুলিস মনে করছে, এই ব্যক্তিই খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আবাসনের চার তলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা তিনি। বৃদ্ধার ডায়েরির সূত্র ধরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত এপ্রিলে যোধপুর পার্কের অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাটের ভিতরে নৃশংস ভাবে খুন হন বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষ (৭৫)। যোধপুর পার্কে বৃদ্ধা খুনে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও মালিকে। তাঁদেরকে জেরা করে পুলিস অনুমান করে, এই খুনের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত। জেরায় পুলিস জানতে পারে, বৃদ্ধার ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল। ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বৃদ্ধার ডায়েরিটি উদ্ধার করে পুলিস।
ডায়েরি পড়ে জানা যায়, ওই বৃদ্ধা খুন হতে পারেন বলে আশঙ্কা আগে থেকেই করছিলেন। বৃদ্ধা তাঁর ডায়েরিতে লিখে রেখে গিয়েছিলেন, কয়েকজন তাঁর ফ্ল্যাটটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এরপরই তদন্তের মোড় নেয় অন্য দিকে।
''কাউকে তোয়াজ করি না'', বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন ফিরহাদ হাকিম
মালি ও নিরাপত্তারক্ষীকে জেরা করেই দেবাশিসের খোঁজ পায় পুলিস। দেবাশিসের নজর বৃদ্ধার তিন হাজার বর্গ ফুটের ফ্ল্যাটটির ওপর ছিল। ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তিনি। ঘরের সব কাজ করতে সমর্থ ছিলেন। বাইরে কোনও কাজের প্রয়োজন হলে, মালি কিংবা নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকে নিতেন তিনি। সেই সুবাদে বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে তাঁদের আসা যাওয়া ছিল।
পুলিস জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন ফুল দেওয়ার অছিলায় বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে ঢোকেন মালি ও নিরাপত্তারক্ষী। প্রথমে সাঁড়াশি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। তারপর গলায় বৃদ্ধারই শাড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে খুন করা হয়। এরপর বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।