খুনের ৩ দিনের মাথায় বেনিয়াপুকুর শুটআউটের কিনারা পুলিসের
খুনের ৩ দিনের মাথায় বেনিয়াপুকুর শুটআউটের কিনারা করে ফেলল পুলিস। সিন্ডিকেট সাম্রাজ্য দখলের জন্যই খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ী নূর মহম্মদকে। জানিয়ে দিলেন গোয়েন্দারা। ঘাতক শুটার ও তার বাইকের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: খুনের ৩ দিনের মাথায় বেনিয়াপুকুর শুটআউটের কিনারা করে ফেলল পুলিস। সিন্ডিকেট সাম্রাজ্য দখলের জন্যই খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ী নূর মহম্মদকে। জানিয়ে দিলেন গোয়েন্দারা। ঘাতক শুটার ও তার বাইকের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩ দিনের মাথায় বেনিয়াপুকুর শুটআউটের কিনারা করল পুলিস। বিজনেস পার্টনার শামিম আখতার ওরফে কেলো এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী সালাউদ্দিনের মিলিত যোগসাজশেই নূর মহম্মদকে খুন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত গোয়েন্দারা। তদন্তে নেমে প্রথমেই নূর মহম্মদের ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি সফিক ও শামিম আখতারকে আটক করেছিল পুলিস। শামিম ওরফে কেলোর কথায় সন্দেহ বাড়ে গোয়েন্দাদের। তাকে গ্রেফতার করে জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পারেন, টাকা ধার দেওয়া নিয়ে একটা সময় কেলোকে চড় মেরেছিলেন নূর। তখন থেকেই নূরের ওপর আক্রোশ তৈরি হয়েছিল কেলোর। কিন্তু বেনিয়াপুকুরের সিন্ডিকেট সাম্রাজ্যের বেতাজ বাদশা নূর মহম্মদকে একা নিকেশ করার ক্ষমতা কেলোর ছিল না। তাই নূরকে সরাতে রীতিমতো অঙ্ক কষে সে।
এলাকায় সিন্ডিকেট ব্যবসা নিয়ে নূরের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা ছিল সালাউদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীর। সালাউদ্দিনও নূরকে সরাতে তক্কে তক্কে ছিল। দুজনে মিলে খুনের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে। ভাড়া করা হয় সুপারি কিলার। মইনুদ্দিন নামের সুপারি কিলার নূর মহম্মদকে গুলি করে খুন করে। মইনুদ্দিনকে বাইকে করে হত্যাস্থলে পৌছে দিয়েছিল চিন্টু নামের এক যুবক। রবিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে মধ্য কলকাতার বন্দরপট্টি এলাকা থেকে মইনুদ্দিন ও চিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত পিস্তল। গ্রেফতার করা হয়েছে সালাউদ্দিনকে। ৪ জনকে জালে নিয়েই রহস্যভেদ করলেন গোয়েন্দারা।