পুলিসের লাঠিতে রক্তাক্ত বাম মিছিল, প্রশ্ন উঠছে পুলিসের মারমুখী ভূমিকা নিয়ে

বাম মিছিল ফের রক্তাক্ত হল পুলিসের লাঠিতে। প্রথমে নবান্ন অভিযান, গতকাল লালবাজার  অভিযান। প্রশ্ন উঠেছে পুলিসের মারমুখী ভূমিকা নিয়ে। আরও সুষ্ঠুভাবে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কি পারত না পুলিস? RAPID COLLAGE 

Updated By: Oct 2, 2015, 06:52 PM IST
পুলিসের লাঠিতে রক্তাক্ত বাম মিছিল, প্রশ্ন উঠছে পুলিসের মারমুখী ভূমিকা নিয়ে

ব্যুরো: বাম মিছিল ফের রক্তাক্ত হল পুলিসের লাঠিতে। প্রথমে নবান্ন অভিযান, গতকাল লালবাজার  অভিযান। প্রশ্ন উঠেছে পুলিসের মারমুখী ভূমিকা নিয়ে। আরও সুষ্ঠুভাবে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কি পারত না পুলিস? RAPID COLLAGE 
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রস্তুতি ও বোঝাপড়া ছিল দুরফেই। তবু রক্তাক্ত হল লালবাজার অভিযান। কেন? কার ভুলে? কী ছিল পুলিসের প্রস্তুতি? 

বৃহস্পতিবার বামেদের তিনটি মিছিলে মোট দশ হাজারের বেশি লোক ছিল না। মিছিল ঠেকাতে শেষ ব্যারিকেড ছিল লালবাজারের একেবারে কাছে। আটফুট উঁচু অ্যালুমিনিয়ামের ওই ব্যারিকেডের পিছনে ছিল দুই সেকশন রোবোকপ ও জলকামান
শেষ ব্যারিকেডের পঞ্চাশ মিটার সামনে ছিল প্রথম ব্যারিকেড। 

কিন্তু প্রথম ব্যারিকেড ভাঙতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা দেখাল পুলিস। প্রাক্তন কর্তারা এমনটাই মনে করছেন, শেষ ব্যারিকেডের কাছে ছিলেন ডিসি এসটিএফ অখিলেশ চতুর্বেদী কলেজ স্ক্যোয়ারের মিছিল এসকর্ট করে আনেন ডিসি ফার্সট ব্যাটালিয়ন মিরাজ খালিদ
অভিযোগ, প্রথম ব্যারিকেড ভাঙতেই লাঠিচার্জের নির্দেশ দেন মিরাজ খালিদ। 

প্রথম চার্জ করে মূলত গুণ্ডাদমন শাখা ও STF টিশার্ট পরা কনস্টেবলরা। কেন লাঠিচার্জের প্রয়োজন পড়ল? 

কোন পরিস্থিতিতে লাঠিচার্জ হবে তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা আইনে নেই। প্রথম ব্যারিকেড ভাঙার পর পুলিসকে পচা ডিম ও পচা টমেটো ছোড়া হয়।উত্তেজনার মুহূর্তে কয়েকটি ঝাণ্ডার লাঠিও পুলিসের হেলমেটে লাগে 

কিন্তু, পরিস্থিতি কখনই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। প্রবীণ পুলিস কর্তারা বলছেন, লাঠি ও ঢাল দিয়ে সামান্য পুশ করলেই বিক্ষোভকারীদের সরানো যেত। লাঠি একান্তই চালাতে হলে তা শরীরের নীচের অংশেই চালানো বিধি 
ব্যবহার করা যেত জলকামান কিংবা কাঁদানে গ্যাস 'লঙ্ঘিত মানবাধিকার'। 

কিন্তু, কী ছবি দেখা গেল?। প্রবীণ বিক্ষোভকারীদের লাথি, মার খেয়ে পড়ে যাওয়া বিক্ষোভকারীকে ঘিরে ধরে মার। আইনজীবীদের মতে দুক্ষেত্রেই লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার। 
শুধু তাই নয়, লাঠি খেয়ে ছত্রভঙ্গ জনতাকে কখনও ফুটপাথে, কখনও মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত ধাওয়া করে পেটাল পুলিস। প্রাক্তন পুলিস কর্তাদের মতে এটা রীতিবিরুদ্ধ।
এমনকি পুলিসকে দেখা গেল বিক্ষোভকারীদের ম্যাটাডোরের কাচ ভাঙতেও।  

মহিলাকে পুরুষ পুলিসের লাঠি। নবান্ন অভিযানের সময়েই মহিলাদের ওপর পুরুষ পুলিসের লাঠিচার্জ নিয়ে প্রশ্ন তোলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। প্রচুর মহিলা পুলিস মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও মহিলাদের পড়তে হল পুরুষ পুলিসের লাঠির সামনে। 

লালবাজার সূত্রে খবর, নবান্ন অভিযানের সময় বাম মিছিল থেকে ইটবৃষ্টিতে আহত হন বহু পুলিস কর্মী। 
এই নিয়ে মধ্যস্তরের পুলিস অফিসারদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ছিলই বিরোধীদের অভিযোগ, তাই পাল্টা মার দিতেই পুলিস কর্মীদের একাংশ বৃহস্পতিবার মারমুখী হয়ে ওঠে

তাই ব্যূহ রচনা করেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রবীণ কর্তারা বলছেন বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডাহা ফেল কলকাতা পুলিস। 

.