সরকারের সিদ্ধান্তে অস্তিত্ব সংকটে পুলিস অ্যাসোসিয়েশন
পুলিস প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করতে গিয়ে কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে দেশের অন্যতম প্রাচীন একটি সংগঠনকে। পুলিসকর্মীদের দাবি পূরনের জন্য পুলিস ওয়েলফেয়ার বোর্ড তৈরি হচ্ছে। ফলে নিষ্কৃয় হয়ে পড়েব পুলিস অ্যাসোসিয়েশন। আদতে রাজ্যের প্রায় আশি হাজার পুলিসকর্মী সংগঠিত হওয়ার অধিকার হারাতে বসেছেন ।
পুলিস প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করতে গিয়ে কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে দেশের অন্যতম প্রাচীন একটি সংগঠনকে। পুলিসকর্মীদের দাবি পূরনের জন্য পুলিস ওয়েলফেয়ার বোর্ড তৈরি হচ্ছে। ফলে নিষ্কৃয় হয়ে পড়েব পুলিস অ্যাসোসিয়েশন। আদতে রাজ্যের প্রায় আশি হাজার পুলিসকর্মী সংগঠিত হওয়ার অধিকার হারাতে বসেছেন ।
১৯১৯ সালে ব্রিটেনে নিজিদের দাবি আদায়ে ধর্মঘট শুরু করেছিল ব্রিটিশ পুলিস। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ১৯২০ সালে তৈরি হয়েছিল বিশ্বের প্রথম পুলিস অ্যাসোসিয়েশন। নিজেদের উপনিবেশেও সেই থেকেই পুলিসকে সংগঠিত হওয়ার অধিকার দিয়েছিল ব্রিটিশরা। সেই ইতিহাসের পথ ধরেই ১৯২৩ সালের ২১ মে অবিভক্ত বেঙ্গল গভর্নমেন্টের পলিটিক্যাল ডিপার্টমেন্ট প্রদেশের শীর্ষ পুলিসকর্তা, ইন্সপেক্টর জেনারেলকে নির্দেশনামা জারি করে পুলিস অ্যাসোসিয়েশনকে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। রাজ্যের মহাফেজখানা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে বেঙ্গল পুলিস অ্যাসোসিয়েশনকেও এই নির্দেশের প্রতিলিপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতকিছুর পরেও ১৯৭৯ সালে এরাজ্য বাদে দেশের অন্যান্য রাজ্যের পুলিসে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। পুলিস অ্যাসোসিয়েশনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নির্দেশে ১৯৮৭ সালে একটি মডেল গাইডলাইনও তৈরি হয়েছিল। পুলিশকর্মীদের দাবি আদায় এবং সমস্যা মেটানোর জন্য ত্রিস্তরীয় যৌথপরামর্শদাতা কমিটিও গঠিত হয়েছিল। নতুন সরকারের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গে পুলিস অ্যাসোসিয়েশনের এই ঐতিহ্য কার্যত মিটে যেতে বসেছে । সেই সঙ্গে মিটতে চলেছে পুলিসকর্মীদের সংগঠিত হওয়ার অধিকারও।
রাজ্য পুলিসে প্রায় বাহান্ন হাজার কর্মী রয়েছেন। রয়েছে নন গেজেটেড পুলিস কর্মচারী সমিতিও। আর কলকাতা পুলিসে রয়েছেন আরও প্রায় তিরিশ হাজার কর্মী। পরিবর্তনের সরকারের এই উদ্যোগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রত্যেকটি সংগঠনের সদস্যরাই।