বাউন্সারের মারে মৃত্যু: পানশালয়ার কর্মীদের জেরা পুলিসের। এলাকার পানশালার বাউন্সারদের তথ্য থানার জমা দেওয়ার নির্দেশ

বাঙুরের পানশালার ঘটনার পর দমদম বরানগর, লেকটাউন সহ পার্শ্ববর্তী সমস্ত থানাগুলিকে বাউন্সার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য নির্দেশ দেওয়া হল। আজই থানাগুলিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিসের ওপরমহল থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Updated By: Dec 22, 2013, 02:45 PM IST

বাঙুরে পানশালায় যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পানশালার কর্মীদের জেরা করল পুলিস। আজ সকালে দমদম থানায় ডেকে জেরা করা হয় পানশালার কয়েকজন কর্মীকে। দমদমসহ লাগোয়া থানাগুলিতে বারাকপুর পুলিস কমিশারেটের তরফে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে এলাকার পানশালাগুলিতে কর্মরত বাউন্সারদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

বাউন্সারদের ঠিকানা, কোনও সচিত্র পরিচয়পত্র রয়েছে কিনা, কোন এজেন্সির মারফত এদের নিয়োগ করা হয়েছে এইসব তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিতে। একইসঙ্গে লেকটাউন, বাগুইআটি, এয়ারপোর্টসহ পার্শ্ববর্তী থানাগুলিও পানশালায় কর্মরত বাউন্সারদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন। মাধব দাসের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং পানশালার সিসিটিভি ফুটেজই তদন্তে প্রধান ভরসা পুলিসের।

সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আট দশজন বাউন্সার ওই পানশালায় কর্মরত ছিলেন বলে পুলিস সূত্রে খবর। রাত বারোটায় পানশালা বন্ধ হয়ে গেলেও বাউন্সাররা ভোররাত পর্যন্ত থাকতেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। পানশালা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে নানারকম অসামাজিক কাজকর্ম চলত বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মদ্যপ অবস্থায় সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েই মাধব দাসের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন পানশালার ম্যানেজার। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই দমদম থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে নিহত মাধব দাসের পরিবার। পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে পানশালা কর্তৃপক্ষও।

.