মুক্তি পেলেন পিঙ্কি প্রামাণিক

মঙ্গলবার বারাসত জেলা আদালতে জামিন মঞ্জুর হওয়া সত্বেও সরকারি নিয়মের ফেরে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই রাত কাটাতে হয়েছিল পিঙ্কি প্রামাণিককে। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে জেল থেকে মুক্তি পেলেন ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত জাতীয় অ্যাথলিট। গ্রেফতার হওয়ার ঠিক ২৬ দিন পর।

Updated By: Jul 11, 2012, 10:43 AM IST

মঙ্গলবার বারাসত জেলা আদালতে জামিন মঞ্জুর হওয়া সত্বেও সরকারি নিয়মের ফেরে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই রাত কাটাতে হয়েছিল পিঙ্কি প্রামাণিককে। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে জেল থেকে মুক্তি পেলেন ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত জাতীয় অ্যাথলিট। গ্রেফতার হওয়ার ঠিক ২৬ দিন পর। তাঁকে স্বাগত জানাতে জেলের বাইরে হাজির ছিলেন, এশিয়াডে সোনাজয়ী অ্যাথলিট জ্যোতির্ময়ী শিকদার-সহ বেশ কয়েকজন মহিলা ক্রীড়াবিদ। ছিলেন পিঙ্কির বাবা দুর্গাচরণ প্রামাণিকও। তাঁর অভিযোগ জমি সংক্রান্ত কারণেই ফাঁসানো হয়েছে পিঙ্কিকে।
অন্যদিকে জেল থেকে মুক্তির পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পিঙ্কি জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। অভিযোগকারী মহিলার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে কিনা তা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন পিঙ্কি প্রামাণিক।
এক মহিলার দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪ জুন তেঘরিয়া থেকে নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার মহিলা বিভাগে পদকজয়ী পিঙ্কি প্রামাণিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। মঙ্গলবার বারাসতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করে। জেলা জজ জানান, ইতিমধ্যেই দু'বার তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। ক্রোমোজোম পরীক্ষাও করা হয়েছে৷ সুতরাং, অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার কোনও কারণ নেই।

অন্যদিকে মঙ্গলবারই পিঙ্কির লিঙ্গ নির্ধারণ সংক্রান্ত ক্রোমোজোম রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় বসে এসএসকেএমের ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। বোর্ডের বৈঠকের পর রির্পোট পাঠানো হয় বারাসত আদালতে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিকেল সাড়ে ৫টার পর জেল থেকে কাউকে ছাড়া যায় না। পিঙ্কির জামিনের নির্দেশ জেলে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় মঙ্গলবার রাত জেলেই কাটে তাঁর।
প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ বা আদালতের রায় ঘোষিত হওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মহিলা অ্যাথেলেটিক্সে অংশগ্রহণকারী পিঙ্কিকে যেভাবে জেলের পুরুষ সেলে রাখা হয়েছে এবং পুরুষ পুলিসকর্মীরা তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করছেন, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন তার প্রতিবাদ জানিয়েছে। বুলা চৌধুরী, জ্যোতির্ময়ী শিকদারের মতো প্রাক্তন ক্রীড়াবিদরাও এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

.