ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মানুষ
এএমআরআই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অব্যবস্থা ও অসহযোগিতার অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মানুষ। অভিযোগ, ভোররাতে আগুন লাগার পরেও, রোগীদের নিরাপদে বের করে নেওয়ার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগুনের খবর দেওয়া হয়নি রোগীর আত্মীয়দেরও।
এএমআরআই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অব্যবস্থা ও অসহযোগিতার অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মানুষ। অভিযোগ, ভোররাতে আগুন লাগার পরেও, রোগীদের নিরাপদে বের করে নেওয়ার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগুনের খবর দেওয়া হয়নি রোগীর আত্মীয়দেরও। উদ্বিগ্ন আত্মীয়দের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, স্থানীয় মানুষকেও উদ্ধারের কাজে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপর, দিনের আলো ফুটলে হাসপাতালের আনাচ কানাচ থেকে উদ্ধার হতে শুরু করে একের পর এক মৃতদেহ। এরপরই হাসপাতালে ভাঙচুর চালান রোগীর আত্মীয়েরা। জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিস লাঠিচার্জ করে। হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে ধরেও ক্ষোভের কথা জানান রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। সকলের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। রোগীর আত্মীয়দের কাছে অনুরোধ করেন শান্ত থাকতে। দোযীদের কড়া শাস্তি দেওয়ারও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে গিয়ে রোগীর আত্মীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। এতবড় ঘটনা ঘটলেও মেয়র কেন এত দেরিতে হাসপাতালে এসেছেন তা নিয়ে তীব্র বিক্ষোভ জানান সাধারণ মানুষ।