অধ্যাপকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী
অধ্যাপকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী। টিভিতে মুখ দেখাতে ব্যস্ত অধ্যাপকরা। ইউজিসির নিয়মে অনেকেরই যোগ্যতা নেই। বাম আমলে স্বজনপোষণের জেরে নিযুক্ত হয়েছেন। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
ওয়েব ডেস্ক: অধ্যাপকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী। টিভিতে মুখ দেখাতে ব্যস্ত অধ্যাপকরা। ইউজিসির নিয়মে অনেকেরই যোগ্যতা নেই। বাম আমলে স্বজনপোষণের জেরে নিযুক্ত হয়েছেন। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
অধ্যাপকদের এক অংশের যোগ্যতা নিয়ে এবার সরাসরি সন্দেহ প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার বিধানসভায় উচ্চ শিক্ষা দফতর নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল। প্রশ্ন করেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এইমুহূর্তে কলেজে শূন্য পদের সংখ্যা কত? জানতে চান বিরোধী দলনেতা।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকারি কলেজে অধ্যাপকদের শূন্যপদের সংখ্যা ৭০৯। এরপরই শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় শিক্ষামন্ত্রীকে। তিনি বলেন, এমন কিছু অধ্যাপক আছেন, যাঁদের ইউজিসি নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতাই নেই। বাম আমলে স্বজনপোষণের জেরে তাঁরা নিযুক্ত হয়েছেন। শুধু টিভিতেই কিছু অধ্যাপকের মুখ দেখা যায়। অনেক কলেজে ছাত্র আছে অধ্যাপক নেই। টিচার ইনচার্জ দিয়ে কলেজ চালাতে হচ্ছে। অথচ ব্যবস্থা নিলেই ধর্নায় বসে যান অধ্যাপকরা। মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
পার্থ চ্যাটার্জির এই মন্তব্যের পরই রীতিমতো হইহই পড়ে যায়। ইউজিসির যোগ্যতা পূরণ না করেও অধ্যাপকরা কীভাবে কলেজে চাকরি পেলেন, তা নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। শিক্ষামন্ত্রী পার্ট টাইম অধ্যাপকদের সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন। এমন কথাও শোনা যায়। তবে বিধানসভার অভ্যন্তরে অধ্যাপকদের শিক্ষাগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার ঘটনা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। কোন কোন কলেজে অধ্যাপকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই সেই তালিকাপ্রকাশের দাবি তোলে কংগ্রেস।