Partha Chatterjee, SSC Case in Calcutta HC: পার্থ চ্যাটার্জির আবেদন শুনলই না ডিভিশন বেঞ্চ, সন্ধেয় সিবিআই দফতরে হাজিরা?
এখন কী হবে? নিয়ম অনুযায়ী এবার আর ওই মামলা শুনবেন না বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। এবার প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হতে হবে পার্থ চ্যাটার্জিকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ সন্ধে ছ'টার মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে সেই মামলা শুনলই না বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাত্ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে সিবিআই হাজিরা এড়ানোর যে রক্ষাকবজ তিনি আশা করেছিলেন তা তিনি পেলেন না।
কেন মামলা শোনা হল না? জানা যাচ্ছে যেসব নিয়ম মেনে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে হয় তা ঠিকমতো মানা হয়নি। বিচারপতি ট্যান্ডন ওই মামলার শুনানিতে বলেন, আপনারা কি জানেন না কীভাবে নিয়য় মেনে আবেদন করতে হয়? আদালতের নিয়ম ভেঙে আমি মামলা শুনতে পারব না। যদি খুব তাড়া থাকে তাহলে প্রধান বিচারপতির কাছে যান। একথা বলে মামলা না শুনে উঠে যান বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।
এখন কী হবে? নিয়ম অনুযায়ী এবার আর ওই মামলা শুনবেন না বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। এবার প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হতে হবে পার্থ চ্যাটার্জিকে। এখন রেজিস্টার জেনারেলের কাছে এনিয়ে আবেদন করতে হবে। তিনি সেই আবেদন পাঠাবেন প্রধান বিচারপতির কাছে। প্রধান বিচারপতি সেই আবেদনের ভিত্তিতে ঠিক করবেন মামলা শোনা হবে কিনা। কিংবা জরুরি ভিত্তিতে ওই মামলা কোন বেঞ্চে শোনা হবে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, পরিস্থিতি যা দাঁড়াল তাতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল থাকল। আজ সন্ধে ছটার মধ্য়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে পার্থ চ্যাটার্জিকে।
উল্লেখ্য, সিবিআই দফতরের হাজিরা দেওয়ার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এনিয়ে মামলা করার অনুমতিও দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, তদন্তকারী সংস্থা ঠিক করবে কাকে ডাকা হবে, কাকে ডাকা হবে না। কোর্ট কি সময় বেঁধে দিতে পারে! ওই সওয়াল শোনার পর মামলা ফাইল করার অনুমতি দেন বিচারপতি ট্যান্ডন।