সশরীরে আদালতে নেই পার্থ, স্থগিত শুনানি; ক্ষুব্ধ বিচারপতি জানালেন নতুন তারিখ
১৪ দিন আগে যখন শেষবার শুনানি হয় তখন আদালত নির্দেশ দেয় যাতে পরের দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকি সকল অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকেই এই শুনানি নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। বিচারপতির পাশাপাশি এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিয়োগ মামলায় হল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শুনানি। জানা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকিদের সকলকে সশরীরে পেশ না করায় এই শুনানি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। সশরীরে তাদেরকে পেশ না করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিচারক। তিনি জানিয়েছেন আগামী সোমবার হবে এই শুনানি এবং সেইদিন সকলকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে বলেও জনিয়েছেন বিচারক। অন্যদিকে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন আদালত আইন মেনেই নির্দেশ দিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেমন আছে তা আদালত দেখতে চাইবেই এমনটাই মত বিকাশ ভট্টাচার্যের।
এখানেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ১৪ দিন আগে যখন শেষবার শুনানি হয় তখন আদালত নির্দেশ দেয় যাতে পরের দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকি সকল অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের অর্ডারে এই নির্দেশ লেখা ছিল।
অন্যদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই এই শুনানি নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। একদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে পাঠায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। এর বদলে নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয় আদালতে। এরপরে শুনানি শুরু হতেই বিচারক প্রশ্ন করেন আজ সশরীরে হাজিরার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তা করা হয়নি।
বিচারপতির পাশাপাশি এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে সশরীরে তাদের না পাঠিয়ে জানানো হয় ভারচুয়ালি শুনানি হবে। এটি সিবিআই-এর বিশেষ আদালত কিন্তু তা এই মুহূর্তে ভেকেশন পিরিয়ডে রয়েছে। ফলে ভেকেশন কোর্টে ভারচুয়াল শুনানির কোনও পরিকাঠামো ছিল না। ফলত ভারচুয়াল শুনানি সম্ভব হয়নি। এরফলেই প্রশ্ন ওঠে কেন আজ তাদেরকে হাজির করা হয়নি।
এই ঘটনার পরে সিদ্ধান্ত হয় যে আগামী ৩১ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার আবার হবে এই শুনানি, সেইদিন সকাল ১০.৩০ মিনিটের মধ্যে সকলকে সকলকে সশরীরে হাজির করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিহারে দুর্ঘটনার কবলে মালগাড়ি, দেরিতে চলছে রাজধানী, বাতিল বহু ট্রেন
পাশাপাশি ক্ষুব্ধ অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। তাদের দাবি জেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য কেন ভুগবেন তাদের মক্কেলরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানিয়েছেন চার্জশিট জমা পরার পরে আজই তাঁর প্রথম জামিনের আবেদন। সেটা করতে না পারায় তাঁর মক্কেল সমস্যায় পড়েছেন। ফলত জেল কর্তৃপক্ষকে কোনও নির্দেশ আদালত দিচ্ছে কিনা সেইদিকে নজর থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও জেল কর্তৃপক্ষ কেন অভিযুক্তদেরকে আদালতে পাঠায়নি সেই বিষয়ে কোনও বিবৃতি তাঁরা না দিলেও সুত্র মারফত জানা গিয়েছে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অসুস্থতার কারণেই তাঁকে পাঠানো হয়নি।