পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের ঘটনাপ্রবাহে পুলিশের ভূমিকা
পার্কস্ট্রিট তদন্তে বারবার বদল হয়ছে পুলিসের ভূমিকা... ধর্ষণ হয়েছে প্রথম বলেছিলেন তখনকার গোয়েন্দা প্রধান দময়ন্তী সেন। এর পর নানা বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত তদন্তও শুরু হয়। তবে পুলিসের অধরাই ছিল মূল অভিযুক্ত কাদের খান। এই সময়ের মধ্যে একাধিক পুলিস কমিশনার বদল হয়ে গেলেও নাগাল পাওয়া যায়নি তার।এমনকি বেশ কয়েকবার পুলিসের চোখে ধুলো দিয়েও পালিয়েছে সে...।৯ ফেব্রুয়ারি পার্কস্টিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরের দিনই কলকাতা ছেড়ে পালায় কাদের এবং আলি। মুম্বইতে হোটেলে ওঠে কাদের। সেখানে তার সঙ্গে এক অভিনেত্রী দেখাও করতে যান। তবে পুলিস পৌছনোর ঠিক আগেই সেখান থেকে চম্পট দেয় কাদের। এর পর কাদেরের খোঁজে নেপালেও হানা দিয়েছিল পুলিস। সেখানেও একই কাণ্ড। কিন্তু প্রতিবার কীভাবে পুলিসের আসার খবর পেয়ে যাচ্ছিল কাদের? কে তাঁকে তথ্য যোগাত সে প্রশ্নের উত্তর এখনও নেই...ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস জারি হলেও এরপর থিতিয়ে যায় তদন্ত...।
ওয়েব ডেস্ক: পার্কস্ট্রিট তদন্তে বারবার বদল হয়ছে পুলিসের ভূমিকা... ধর্ষণ হয়েছে প্রথম বলেছিলেন তখনকার গোয়েন্দা প্রধান দময়ন্তী সেন। এর পর নানা বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত তদন্তও শুরু হয়। তবে পুলিসের অধরাই ছিল মূল অভিযুক্ত কাদের খান। এই সময়ের মধ্যে একাধিক পুলিস কমিশনার বদল হয়ে গেলেও নাগাল পাওয়া যায়নি তার।এমনকি বেশ কয়েকবার পুলিসের চোখে ধুলো দিয়েও পালিয়েছে সে...।৯ ফেব্রুয়ারি পার্কস্টিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরের দিনই কলকাতা ছেড়ে পালায় কাদের এবং আলি। মুম্বইতে হোটেলে ওঠে কাদের। সেখানে তার সঙ্গে এক অভিনেত্রী দেখাও করতে যান। তবে পুলিস পৌছনোর ঠিক আগেই সেখান থেকে চম্পট দেয় কাদের। এর পর কাদেরের খোঁজে নেপালেও হানা দিয়েছিল পুলিস। সেখানেও একই কাণ্ড। কিন্তু প্রতিবার কীভাবে পুলিসের আসার খবর পেয়ে যাচ্ছিল কাদের? কে তাঁকে তথ্য যোগাত সে প্রশ্নের উত্তর এখনও নেই...ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস জারি হলেও এরপর থিতিয়ে যায় তদন্ত...।
আরও পড়ুন ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড টেস্টে একের পর এক পাঞ্চ লাইন বীরুর!
মুম্বইয়ের হোটেলে কাদেরের সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী। সেই হোটেলের রেজিস্টার কোর্টে জমা দেয় পুলিস। তবে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। ওই অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রভাবশালী ও পুলিসের ওপর মহলের ঘনিষ্ঠতাই কাদেরের রক্ষা কবচ হয়েছিল বলে দাবি। তবে ইদানিং অভিনেত্রীর সঙ্গে ইদানিং আর কাদেরের যোগাযোগ ছিল না। পুলিসও হঠাত্ জানতে পারে বিহার নেপাল সীমান্তে রয়েছে কাদের ও আলি। ফের নতুন করে তদন্ত শুরু করেন নগর পাল রাজীব কুমার। তদন্ত শুরুর পর প্রথম মাস্টারস্ট্রোকটা দেন রাজীব কুমারই... তদন্তের দায়িত্বে তিনি নিয়ে আসেন ডিসি সাউথ মুরলীধর শর্মাকে...।
আরও পড়ুন রাগী মানুষের বুকে ফল্গু নদীও বয় বোঝার জন্য এটা ভালো উদাহরণ
শহরের একাধিক রহস্য সমাধানে একাধিক সাফল্য পেয়েছেন মুরলীধর শর্মা। ২০১২য় ঘটনার সময় ডিসি স্পেশাল ছিলেন তিনি। পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের তদন্তেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এই মামলার সব তথ্য তাঁর নখ দর্পনে। এবার দায়িত্ব পেয়েই স্পেশাল টিম তৈরি করেন মুরলীধর শর্মা। দক্ষিণ কলকাতার এক থানার ওসিকে নিয়ে আসেন তদন্ত দলে। সেই অফিসারের নিজের সূত্র ধরে কাদেরকে ট্র্যাক করেন। ধরা পড়ে যায় কাদের খান...পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েনি বলে মাঝে মধ্যেই সমালোচনা হত পুলিস প্রশাসনের... এবার সেই সমালোচনারও জবাব দিলেন রাজীব কুমার এবং তাঁর টিম।
আরও পড়ুন পার্কস্ট্রিট কাণ্ডে ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিসের জেরায়