কমিশন-রাজ্য সংঘাতে দোলাচলে পঞ্চায়েত নির্বাচন
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সংঘাত আরও জটিল হল। সকালে খানিকটা সুর নরম করার ইঙ্গিত দিলেও ফের সুর চড়াল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, দু`দফায় ভোট করার সিদ্ধান্তে সরকারি চিঠি প্রস্তুত। চিঠি পাঠানো হবে কমিশনকে। নির্বাচন কমিশনও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। রাজ্য সরকারের চিঠি পাওয়ার পরই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন। কদিনে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে তা নিয়ে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংঘাতের ইতি কোথায় সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। দু`পক্ষই অনড় নিজের নিজের অবস্থানে। তিন দফায় ভোট এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। কমিশনের দুটি প্রস্তাবই খারিজ করে সরকার অনড় দু`দফায় ভোট করাতে। কিন্তু বুধবার হঠাত্ই যেন একটু অন্য সুর শোনা গেল পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গলায়। আজ মহাকরণে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, "অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চায় রাজ্য সরকার।" তবে নির্বাচন কমিশন যে শেষ চিঠিটি দিয়েছে তার উত্তর তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সংঘাত আরও জটিল হল। সকালে খানিকটা সুর নরম করার ইঙ্গিত দিলেও ফের সুর চড়াল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, দু`দফায় ভোট করার সিদ্ধান্তে সরকারি চিঠি প্রস্তুত। চিঠি পাঠানো হবে কমিশনকে। নির্বাচন কমিশনও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। রাজ্য সরকারের চিঠি পাওয়ার পরই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন। কদিনে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে তা নিয়ে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংঘাতের ইতি কোথায় সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। দু`পক্ষই অনড় নিজের নিজের অবস্থানে। তিন দফায় ভোট এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। কমিশনের দুটি প্রস্তাবই খারিজ করে সরকার অনড় দু`দফায় ভোট করাতে। কিন্তু বুধবার হঠাত্ই যেন একটু অন্য সুর শোনা গেল পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গলায়। আজ মহাকরণে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, "অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চায় রাজ্য সরকার।" তবে নির্বাচন কমিশন যে শেষ চিঠিটি দিয়েছে তার উত্তর তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে।
মহাকরণে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই জল্পনা তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। তাহলে কি সুর নরম করছে রাজ্য সরকার? নির্বাচন কমিশন সূত্রেও শুরু হয়ে যায় খোঁজখবর নেওয়া। ঠিক কী বলেছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী? কারণ নির্বাচন কমিশন কিন্তু তিন দিনে ভোট করার সিদ্ধান্তেই অনড়। কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের কাছে তারা যে সর্বশেষ রিপোর্ট পাঠিয়েছে তাতেও বলা হয়েছে, পঞ্চায়ত নির্বাচন ঘিরে যে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে তিন দিনের কমে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট অসম্ভব। তবে জল্পনা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, কমিশনের জন্য জবাবি চিঠি প্রস্তুত। দুদিনেই ভোট হবে। উত্তরবঙ্গ সফর সেরে মুখ্যমন্ত্রী ফেরার পর তাঁকে দেখিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হবে কমিশনকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী যে কোনও ভাবেই আনা হবে না তাও জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী।
স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনকে ঘিরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল এখনও তার কোনও সমাধানসূত্র উঠে এল না। দুপক্ষই অনড় থাকলে শেষপর্যন্ত কি তাহলে আদালতেই মীমাংসা হবে এই নজিরবিহীন সঙ্কটের?