Panchayet Election 2023: মার্চ-এপ্রিলেই ভোট! পঞ্চায়েতের ৩ স্তরেই বাড়ল আসন সংখ্যা
রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় সরকারি সফরে গিয়ে পড়ে থাকা কাজ দ্রুত শেষ করে ফেলার উপরে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেও পারে
সুতপা সেন: সম্ভবত আগামী বছর মার্চ কিংবা এপ্রিল মাসেই রাজ্যে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমনটাই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। এমনিতেই মে মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিত অনুযায়ী তা খানিকটা এগিয়ে আনাও হতে পারে। এদিকে, বুধবার প্রকাশিত হল পঞ্চায়েতের আসন পুনর্বিন্য়াসের তালিকা। এতে দেখা যাচ্ছে আসন সংখ্যা বাড়ল পঞ্চায়েতের সব স্তরে। আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবারই রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই তালিকা সংশোধনের পর নভেম্বর মাসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন-ফের সেক্সটরশনের ফাঁদ! হরিদেবপুরে আত্মঘাতী যুবক
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরেই আসন সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৮ সালে গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ছিল ৪৮,৬৫০টি। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৬২,৩৬২টি। অর্থাত্ মোট আসন বেড়েছে ১৩,৭১২টি। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতিতে ২০১৮ সালে আসন ছিল ৯,২১৭। এবার তা ২৮১টি বেড়ে হয়েছে ৯,৪৯৮টি। অন্যদিকে, জেলা পরিষদে ২০১৮ সালে মোট আসন ছিল ৮২৫টি। এবার ১০৩টি আসন বেড়ে মোট আসন সংখ্যা হয়েছে ৯,২৮টি।
কেন এমন আসন বৃদ্ধি? পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হতে অনেকটাই সময় নেয়। তাই চেষ্টা করা হয় প্রতিটি বুথে যতটা সম্ভব কম ভোটার রাখা যায়। গত ২ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বুথে ভোটারের সংখ্যা কমিয়ে ভোটগ্রহণ দ্রুত শেষ করতে চাইছে কমিশন। এভাবে পঞ্চায়েতের ৩টি স্তরেই আসন সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় সরকারি সফরে গিয়ে পড়ে থাকা কাজ দ্রুত শেষ করে ফেলার উপরে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেও পারে।
এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে গিয়েছে ১৫টি কেন্দ্রীয় দল। কেন? সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছেন দলের সদস্যরা। রিপোর্টে বাংলা আবাস যোজনা গরমিল ও আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে যখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোয়ন্নন মন্ত্রক। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, 'পঞ্চায়েতে চোর ধর, এফআইআর কর'। সঙ্গে দুর্নীতি বা তছরুপ হলে, টাকা উদ্ধারের নির্দেশ। জেলার প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই কড়া চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।