Panchayat Election 2023: ভাঙড়ে সংঘর্ষ, নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা পুলিসের
Panchayat Election 2023: ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, আমি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। এরকম একটি অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এটা হল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আমি সবসময়ই শান্তি ও সৌজন্যের কথা বলি। তার পরেও আমার নামেই খুনের অভিযোগ আনা হচ্ছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতকালই নওশাদ সিদ্দিকির জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার ফের খবরে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা করল পুলিস। এর আগে আরাবুল ইসলাম ও তার ছেলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। আইএসএফের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন-এত রক্ত কেন? রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধের হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের!
পুলিস সূত্রে খবর, ঋত্বিক নস্কর নামে এক ব্যক্তি নওশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। রাজু নস্কর নামে তাঁর এক আত্মীয় খুন হন। তিনি তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ অভিযোগ আনা হয়। তার পরেই ভাঙড়ের কাশীপুর থানার পক্ষে নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ৩০২ সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়। এর আগে আরাবুল ইসলাম ও তার ছেলে হাকিমুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়ে কী বললেন নওশাদ সিদ্দিকি? ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, আমি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। এরকম একটি অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এটা হল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আমি সবসময়ই শান্তি ও সৌজন্যের কথা বলি। তার পরেও আমার নামেই খুনের অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমি নাকি মানুষকে মারার জন্য চক্রান্ত করছি। আমার সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে পেরে ওরা পেরে উঠছে না। তাই কখনও আমাকে গ্রেফতার করে জেলে রাখার চেষ্টা করছে। কখনও আবার নামে গুজব ছড়িয়ে মানুষের সামনে আমার উপরে কালিমা লেপন করার চেষ্টা করছে। শাসকদলের কর্মীরা আমাকে কখনও আক্রমণ করারও চেষ্টা করছে। অবশেষে আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ এনে খুনের আসামী করা হয়েছে। কোন পথে গেল কী হবে তা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছি।
ভাঙড়ের হাটগাছা এলাকায় রাজু নস্কর কিছু সহকর্মীকে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। তাদের ঘিরে ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ঋত্বিকের। সেই মারেই মৃত্যু হয় রাজুর। শেষে গুলি পর্যন্ত করা হয় রাজুকে। ঘটনার সময়ে ছিলেন ঋত্বিক। কোনও ক্রমে তিনি পালিয়ে বাঁচেন। অভিযোগ, নওশাদের প্ররোচনাতেই ওই হামলা করা হয়।
কয়েক দিন ধরে তাঁকে নিরাপত্তার দেওয়া কথা বলে আসছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। গতকালই তাঁকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাবেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে নওশাদকে কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি। কলকাতা হাইকোর্টকে তা জানিয়ে দেবে কেন্দ্র।
'আমি প্রাণহানির আশঙ্কা আছি'। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, 'পাইলট কার তো পাওয়ার প্রশ্নই আসছে না। বিধায়ক হিসেবে সম্ভবত ২-৪ জন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকেন, সেগুলি আমি পাইনি। রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি, নিরাপত্তা পাইনি। তারপর কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি'। ওই মামলায় আজ শুনানি ছিল। বিচারপতি মান্থার তাঁর রায়ে আজ বলেন, রাজ্যে বহু বিধায়ক নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নওশাদ সিদ্দিকির নিরাপত্তার প্রয়োজন। যত শীঘ্র সম্ভব এর ব্য়বস্থা করা প্রয়োজন।