কবিগুরুর পদ্মা বোটে মিলল দুই বাংলা
পদ্মা বোট রবীন্দ্রনাথের রচনার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। এই পদ্মাবোটের প্রতিকৃতিই বুধবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দিল বাংলাদেশ সরকার। জোড়াসাঁকো প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পদ্মা বোটের কাঠের প্রতিকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী।
পদ্মা বোট রবীন্দ্রনাথের রচনার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। এই পদ্মাবোটের প্রতিকৃতিই বুধবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দিল বাংলাদেশ সরকার। জোড়াসাঁকো প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পদ্মা বোটের কাঠের প্রতিকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী।
ইন্দ্রের যেমন ঐরাবত তাঁর তেমন পদ্মা। পদ্মাবোট ঘিরে এমনই নানা অনুভুতির কথা বারেবারেই প্রকাশ পেয়েছে বিশ্বকবির লেখায়। ১৮৯০ সালে জমিদারির দায়িত্ব পেয়ে শিলাইদহে গেছিলেন কবি। সেবারই প্রথমবার খুব কাছ থেকে চিনলেন প্রকৃতিকে। দেখলেন খোলা সেই সময় কবির বিশেষ সঙ্গী ছিল পদ্মা বোট। ছিন্নপত্রাবলীর নানা লেখায় পদ্মার বুকে তাঁর একান্ত নৌকাবিহারের কথা প্রকাশ পেয়েছে।
শুধু ছিন্নপত্রাবলীই নয়, তাঁর বহু লেখার রসদ কবি খুঁজে পেয়েছেন এই বোটে চড়ে ঘোরার সময়। জোড়াসাঁকো প্রাঙ্গনে কবির নামাঙ্কিত মিউজিয়ামেও রয়েছে এই বোট নিয়ে নানা কথা। সেই মিউজিয়ামে নতুন সংযোজন পদ্মা বোটের প্রতিকৃতি। বাংলাদেশের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন প্রতিকৃতি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীও।
শুধু রবীন্দ্রভারতী নয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে পদ্মাবোট ও চপলাবোটের প্রতিকৃতি উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। রাজনৈতিক সম্পর্কে যতই চাপানউতোর থাকুক না কেন, রবীন্দ্রনাথের পদ্মাবোট যে দুপারের মানুষকে ফের একবার কাছাকাছি আনল তা নিসন্দেহে বলা যায়।