Saugata Roy: বাংলায় এখনও সেই ষাটের দশকের বোমা; সৌগতর মন্তব্যে তুঙ্গে তরজা
সুজন চক্রবর্তী বলেন, সৌগতবাবুর কাজ ছিল ছেলেমেয়েরা যাতে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। হাতে হাতে টাকা নিলে তার বিরোধিতা করা। তার পরিবর্তে তিনি এখন বোমা তৈরির ফর্মুলা শেখাতে ব্যস্ত
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে বোমা উদ্ধার নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এনিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কি আগে বোমা পড়ত না? সিপিএম, কংগ্রেসের আমলে বোমা পাওয়া যেত না? আমাদের মুসকিল হচ্ছে, বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয়েছে কিন্তু আমরা ষাটের দশকে যে বোমা দেখেছি সেই একই ধরনের বোমা রয়ে গিয়েছে। ওই একটা কৌটোর মধ্যে নারকেলের দড়ি পেঁচিয়ে পটাসিয়াম ক্লোরেট, পটাশ আর আর্সেনিক টাই সালফাইড দিয়ে বোমা তৈরি হতো। এখনও তাই হয়। আধুনিক বোমা পর্যন্ত এখানে তৈরি হয় না। তাই এর বড় কোনও গুরুত্ব নেই।
আরও পড়ুন-মুম্বই কাঁটায় ফের বিদ্ধ এটিকে মোহনবাগান! ১০ জনে খেলে ড্র করল সবুজ-মেরুন
গতকাল কামারহাটিতে এক কর্মীসভায় মদন মিত্র বলেছেন, জোর করে পঞ্চায়েত নিয়ে নেব এই চিন্তা থেকে বের হতে হবে। তারই মধ্যে সৌগতর এই মন্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বোমাই তৃণমূলের বাঁচার একমাত্র পথ। তাই রাজ্য়ের প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি পাড়ায় যাতে বোমা থাকে তার জন্য দলের প্রবীণ, প্রাজ্ঞ সাংসদ যিনি দলের বিবেক তার থেকেই বার্তা এসেছে দলের কর্মীরা যাবে পর্যাপ্ত বোমা মজুত করেন। আমরা তো মনে হয় না কোনও সুস্থ সমাজে এই বক্তব্য আগে কেউ শুনেছে। দলের মূল যে কর্মসূচি সেটাই তিনি করার চেষ্টা করেছে।
সৌগতর মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূল নেতাকে বিঁধে তিনি বলেন, জানি না মাথার বিকৃতি ওঁর হয়েছে কিনা। সৌগতবাবুর কাজ ছিল ছেলেমেয়েরা যাতে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। হাতে হাতে টাকা নিলে তার বিরোধিতা করা। তার পরিবর্তে তিনি এখন বোমা তৈরির ফর্মুলা শেখাতে ব্যস্ত। তৃণমূলের আমলে বোমার খবর নিত্য দিনের। আর উনি বলছেন এটা কিছু নয়!
গতকাল কামারহাটির এক সভায় দলে শুদ্ধিকরণের বার্তা দেন সৌগত রায়। তাঁর সেই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে সাংসদ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, শুদ্ধিকরণের ডাক যে দিচ্ছে তার বিরুদ্ধেই মারাত্মক দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে। বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে কারাগারের বাইরে রয়েছেন। নারদায় হাত পেতে টাকা নেওয়ার মানুষ, তিনি যদি বলেন শুদ্ধিকারণের কথা বলেন তাহলে নিচের তলার মানুষ হাসবে। মুচকি হেসে বলবে এটাই শুদ্ধিকরণের পন্থা । এরাজ্যে কেউ নিরাপদে নেই। আইনজীবী থেকে বিচারক কমবেশি শাসকদলের হুমকি শাসানির মুখে পড়েছে। এই পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে হলে পথে নেমে আন্দোলনে নামতে হবে। আমরা পথে নেমে শাসকদের হুমকির বিরুদ্ধে আন্দোলন করব।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)