শুধু অর্থ নয় সারাদার সঙ্গে চুক্তির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, জেরায় স্বীকার সৃঞ্জয়ের

শুধু অর্থ নয়। সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তির পেছনে ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। জেরার মুখে এমনই দাবি তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসুর। তৃণমূল সাংসদের এই বয়ানকে হাতিয়ার করেই রাজ্যের দুই প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহে নামল সিবিআই। আদালতে সৃঞ্জয় বসুকে গোপন জবানবন্দি দিতে রাজি করানোর জন্য চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

Updated By: Dec 1, 2014, 09:16 PM IST
শুধু অর্থ নয় সারাদার সঙ্গে চুক্তির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, জেরায় স্বীকার সৃঞ্জয়ের

কলকাতা: শুধু অর্থ নয়। সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তির পেছনে ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। জেরার মুখে এমনই দাবি তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসুর। তৃণমূল সাংসদের এই বয়ানকে হাতিয়ার করেই রাজ্যের দুই প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহে নামল সিবিআই। আদালতে সৃঞ্জয় বসুকে গোপন জবানবন্দি দিতে রাজি করানোর জন্য চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

কুণাল ঘোষ নিজেই একাধিকবার গোপন জবানবন্দি দিতে চেয়েছিলেন। তবে বিশেষ আগ্রহ দেখানো হয়নি তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে। অথচ সৃঞ্জয় বসুকে বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দিতে রাজি করাতে মরিয়া তদন্তকারীরা। কিন্তু কেন? তদন্তকারীদের দাবি জেরার মুখে সৃঞ্জয় যা বলেছেন তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়ান গোপন জবানবন্দিতে অপরিবর্তিত রাখলে তা একাধিক প্রভাবশালী ষড়যন্ত্রকারীর বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

কী আছে সৃঞ্জয়ের বয়ানে?

""সারদার সঙ্গে চুক্তির পেছনে আর্থিক লাভের চেয়ে বেশি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য''
""আমি মূলত ব্যবসায়ী। চুক্তির পেছনে থাকা রাজনীতির সঙ্গে আমার বিশেষ যোগ নেই''
""সারদা থেকে পাওয়া অর্থ আমি নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করিনি''

প্রশ্ন উঠছে তাহলে কারা এই চুক্তি থেকে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছে? জেরার মুখে সৃঞ্জয় কুণালকেই দোষারপ করেছেন। কিন্তু স্বীকার করেছেন, কুণাল ঘোষের আগে অন্য এক প্রখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে সারদার চুক্তি হয়েছিল মিডিয়া CEO হওয়ার জন্য। রাজনৈতিক কারণেই সেই চুক্তি বাতিল করে কুণালকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে জানান সৃঞ্জয়। তদন্তকারীদের এখন একমাত্র লক্ষ্য সৃঞ্জয়কে গোপন জবানবন্দি দিতে রাজি করানো। তাহলে সারদা রহস্য সমাধনে সিবিআই অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবে বলে মত তদন্তকারীদের।

 

.