উচ্ছেদ আতঙ্কে চোখে ঘুম নেই নোনাডাঙার

ভিটে-মাটি হারানোর ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন নোনাডাঙার প্রায় ৮০০ পরিবার। সরকারি খাস জমিতে বসবাসকারী ওই বাসিন্দাদের ঘর খালি করে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে কেএমডিএ। পুনর্বাসনের দাবিতে রবিবার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন বস্তিবাসীরা। মঙ্গলবার পরিচয়পত্র নিয়ে উন্নয়ন ভবনে যাবেন তাঁরা। নোনাডাঙার চারটি কলোনির বাসিন্দাদের এখন চিন্তায় রাতের ঘুম ছুটেছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারানোর ভয়ে। রবিবারই উচ্ছেদের নোটিশ জারি করেছে কেএমডিএ।

Updated By: Mar 12, 2012, 02:16 PM IST

ভিটে-মাটি হারানোর ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন নোনাডাঙার প্রায় ৮০০ পরিবার। সরকারি খাস জমিতে বসবাসকারী ওই বাসিন্দাদের ঘর খালি করে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে কেএমডিএ। পুনর্বাসনের দাবিতে রবিবার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন বস্তিবাসীরা। মঙ্গলবার পরিচয়পত্র নিয়ে উন্নয়ন ভবনে যাবেন তাঁরা।
নোনাডাঙার চারটি কলোনির বাসিন্দাদের এখন চিন্তায় রাতের ঘুম ছুটেছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারানোর ভয়ে। রবিবারই উচ্ছেদের নোটিশ জারি করেছে কেএমডিএ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নোটিশে। পূনর্বাসনের দাবি নিয়ে রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে হরিশ চ্যাটার্জি রোডে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বস্তিবাসিরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছোন পুরমন্ত্রী ববি হাকিম। সোমবার উচ্ছেদের কাজ বন্ধ থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। মঙ্গলবার পরিচয়পত্র নিয়ে উন্নয়ন ভবনে দেখা করতেও বলেন তিনি। কিন্তু পুরমন্ত্রীর তরফে পূনর্বাসনের কোনও আশ্বাস না-মেলায় আতঙ্ক কাটেনি নোনাডাঙার বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ পুরমন্ত্রীর তরফে আশ্বাস মিললেও উচ্ছেদের হুমকি বন্ধ হয়নি কেএমডিএর তরফে।
উচ্ছেদ নোটিশের কোপে পড়েছে এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলও। সমাজসেবী মহেশ্বেতা দেবীর উদ্যোগেই গড়ে উঠেছিল স্কুলটি। স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় দেড়শো। উচ্ছেদের নোটিসে রীতিমতো আতঙ্কিত স্কুলের শিক্ষিকারা।
উচ্ছেদ নোটিসের আওতায় রয়েছে নোনাডাঙার চারটি কলোনি। চারটি কলোনি মিলিয়ে প্রায় ৮০০ মানুষের বাস। সরকারের তরফে পূনর্বাসনের কোনও আশ্বাস না-মেলায় একরাশ অনিশ্চয়তার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন বস্তিবাসীরা।

.