নিজস্ব প্রতিবেদন: গত শনিবার সন্ধ্যায় মেট্রো রেলে এক যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে ফুঁসে উঠেছিল গোটা শহর। মেট্রো কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলে নানা বয়ান দিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। কিন্তু সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই ম্লান হয়ে গেল সেই ক্ষোভ। ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার প্রবণতা। সজল কাঞ্জিলাল মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার ছিল তদন্ত কমিশনে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান দেওয়ার দিন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেখানে সেদিনের কথা বলতে হাজির হলেন না কেউ। মেট্রো যাত্রীদের অভিজ্ঞতার কথা অজানাই রয়ে গেল কমিশনের সদস্যদের। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ পেল মেট্রো।
সজল কাঞ্জিলালের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার ছিল প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ দেওয়ার দিন। রেলের গঠন করা তদন্ত কমিশনের সামনে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ ছিল মেট্রোর যাত্রীদের সামনে। সেকথা জানিয়ে খবর কাগজে ও মেট্রোভবনের দরজায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাতেও এদিন দেখা মেলেনি এক জন প্রত্যক্ষদর্শীরও। সুযোগ থাকলেও সহনাগরিকের মৃত্যুর বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করলেন না কেউই। ফলে সজলবাবুর মৃত্যুতে কি বদলাবে কিছু? প্রশ্ন রয়েই গেল।
ওয়াকিফহাল মহলের দাবি, যে ভাবে তদন্ত কমিশনে হাজিরার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা অনেকেরই চোখে পড়েনি। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে পিছনের দিকের পাতায়। মেট্রোভবনে বিজ্ঞাপন যেখানে দেওয়া হয়েছে তা চোখে পড়েনি। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ময়দানে মেট্রোয় আগুন লাগার ঘটনার ক্ষেত্রে যেভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, এক্ষেত্রেও একই পদ্ধতির অনুসরণ করা হয়েছে।
টিকিট রয়েছে, তবু এক যাত্রীকে ১,০০০ টাকা জরিমানা করল মেট্রো, জেনে নিন কেন
শনিবার সজলবাবুর মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ম্লান সেই স্মৃতি। জীবন ফিরেছে পুরনো ছন্দে। যাত্রীদের ট্রেনের গেট আটকানোর প্রবণতা রুখতে জরিমানা করার হুমকি দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কেন দিনের পর দিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর চলে না ট্রেন? প্রশ্ন করলেই মুখ চাওয়াচাওয়ি করেন বাবুরা।
সজল কাঞ্জিলালের মৃত্যু তদন্তে কমিশনের সামনে হাজিরা দিলেন না কোনও প্রত্যক্ষদর্শী