টার্গেট গুলিয়ে বিভ্রান্তিতে রাজ্য বিজেপি, কর্মীদের ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় নেত্রী নির্মলা সীতারমন
দুহাজার ষোলো? নাকি উনিশ? টার্গেট গুলিয়ে ফেলে চরম বিভ্রান্তিতে দিশাহারা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিভ্রান্ত দলের কর্মীরাও। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাজ্যে এসে ক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় নেত্রী নির্মলা সীতারমন। বেসামাল কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁর সামনেই।
ব্যুরো: দুহাজার ষোলো? নাকি উনিশ? টার্গেট গুলিয়ে ফেলে চরম বিভ্রান্তিতে দিশাহারা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিভ্রান্ত দলের কর্মীরাও। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাজ্যে এসে ক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় নেত্রী নির্মলা সীতারমন। বেসামাল কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁর সামনেই।
নভেম্বরে ঠিক এভাবেই মিশন দুহাজার ষোলোর লক্ষ্যে কর্মীদের তাতিয়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু ঠিক সাত মাস পরেই বেসুর বেজেছে তাঁর গলায়। রাজ্যে এসে মঙ্গলবার অমিত শাহের বার্তা ছিল,দুহাজার উনিশে রাজ্য থেকে বিজেপির বিজয়রথ এগোবে।এমন দূরায়ত লক্ষ্যের ঘোষণায় রীতিমতো হতাশ কর্মীরা। পরদিন দলের অন্য হেভিওয়েটরা ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেও সুবিধে করতে পারেননি। ষোলো নাকি উনিশ, টার্গেট নিয়ে কর্মীরা যখন দোটানায়, তখনই শুক্রবার রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় নেত্রী নির্মলা সীতারমন। তাঁকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন দুই চব্বিশ পরগনার কর্মীরা।
''২০১৯ নাকি ২০১৬, আমাদের কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ? সর্বভারতীয় সভাপতি ২০১৯-এর প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তাহলে এত তাড়া কীসের?'' ক্ষোভের মুখে পড়ে সর্বভারতীয় সভাপতির কোর্টেই বল ঠেলে দেন নির্মলা।
কর্মীদের কথা শোনার পর শেষ পর্যন্ত অবশ্য আগামী দিনের লক্ষ্য স্পষ্ট করে দেন তিনি।
২০১৯-এ ভালো করতে হলে ২০১৬র নির্বাচনেই রাজ্যে ভালো ফল করতে হবে। সরকার গঠনেরও চেষ্টা করতে হবে।
চাপের মুখে রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করেন ''অগাস্ট থেকে নামতে হবে।''
শনিবার নির্মলা সীতারমন আসানসোলে কর্মিসভায় যোগ দিতে যাচ্ছেন। এই সফর কি চাঙ্গা করতে পারবে দলের অন্যতম ঘাঁটি আসানসোলের কর্মীদের? নাকি ফের ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে নেতৃত্বকে?