কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে রাজ্যের নয়া পদক্ষেপ, চালু হচ্ছে প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার

কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে রাজ্যের নয়া উদ্যোগ। চালু হচ্ছে প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার। কাজে গতি ও স্বচ্ছতা আনতে নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ শেষ করার লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হবে ক্যালেন্ডারে। সাতদিনের মধ্যেই মুখ্যসচিবকে সমস্ত দফতরের পরিস্থিতি কী তার বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে সচিবদের। 

Updated By: Nov 23, 2013, 06:19 PM IST

কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে রাজ্যের নয়া উদ্যোগ। চালু হচ্ছে প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার। কাজে গতি ও স্বচ্ছতা আনতে নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ শেষ করার লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হবে ক্যালেন্ডারে। সাতদিনের মধ্যেই মুখ্যসচিবকে সমস্ত দফতরের পরিস্থিতি কী তার বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে সচিবদের। 
সরকারি কাজে গতি আনতে শেষমেষ ডু ইট নাউয়ের থিয়োরেতেই নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি কাজের হিসেবনিকেশ বুঝতে এবার চালু হতে চলেছে প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার। যেখান থেকে পরিস্কার জানা যাবে সরকারি দফতরের বিভিন্ন কাজের গতিপ্রকৃতি। সরকারি ওয়েবসাইটে দেখা যাবে এই ক্যালেন্ডার। এই মুহুর্তে কোন প্রল্পের কাজ কতদুর হয়েছে, কোন কাজ থমকে রয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে সাতদিনের মধ্যে মুখ্যসচিবকে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত সচিবদের।
কেন এই প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার? মূলত সরকারি কাজের গতি ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার নিয়ে আসার কথা ভাবছে সরকার।
বেশকিছু জায়গায় উন্নয়নের কাজ না হওয়ায় সাংসদ  তহবিলের টাকা ফের ফিরে গেছে কেন্দ্রের কাছে। এখনও থমকে রয়েছে বেশকিছু প্রকল্পের কাজ। উন্নয়নের কাজে সাংসদ তহবিলের টাকার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না এই অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
ঠিক সময়ে যাতে কাজ শেষ করার তাগিদ থাকে প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার তৈরি করার তাও এক বড় কারণ। সোজা কথায় কাজের ক্যালেন্ডার তৈরি নেতা মন্ত্রী থেকে সরকারি কর্তাদের কাজের ডেড লাইনে বাঁধার জন্যঅ মুখ্যমন্ত্রীর এই নয়া ফরমান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.