নেপাল সরকারের শংসাপত্র উস্কে দিল বিতর্ক, প্রশ্নের মুখে 'বীরাঙ্গনা' সুনীতার এভারেস্ট জয়
নেপাল সরকারের শংসাপত্রে এভারেস্ট সামিট নিয়ে বিতর্কে তিন পর্বতারোহী। এভারেস্ট জয়ের ক্ষেত্রে সেই মুহূর্তের ছবি এবং শেরপাদের বয়ানকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সুনীতার বিপক্ষে গেছে সবই।
ওয়েব ডেস্ক : নেপাল সরকারের শংসাপত্রে এভারেস্ট সামিট নিয়ে বিতর্কে তিন পর্বতারোহী। এভারেস্ট জয়ের ক্ষেত্রে সেই মুহূর্তের ছবি এবং শেরপাদের বয়ানকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সুনীতার বিপক্ষে গেছে সবই।
শংসাপত্রে দেখা যাচ্ছে, তালিকাতে না থাকলেও সুনীতা হাজরার নামের পাশে ছাপার অক্ষরে লেখা আছে 'নো সামিট'। গৌতম ঘোষ এবং পরেশচন্দ্র নাথের নামের পাশে লেখা 'নো সামিট অ্যান্ড ডেড' । একমাত্র সুভাষ পালের নামের পাশে শুধুই 'ডেড' লেখা। সেক্ষেত্রে মনে করা যেতে পারে তিনিই একমাত্র যিনি সামিট করেছিলেন। প্রয়াত পর্বতারোহী সুভাষ পালের ক্যামেরায় তোলা একটি এক্সক্লুসিভ ছবি এসেছিল চব্বিশ ঘণ্টার হাতে। যেখানে ক্যামেরা বন্দি হয়েছে এভারেস্টের শৃঙ্গজয়ের সেই বিরল মুহূর্ত।
যদিও সুনীতার স্বামী সুদেব হাজরার দাবি, যে এজেন্সি মারফত সুনীতা এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন, তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ছবি ছাড়া শৃঙ্গজয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। কিন্তু এভারেস্টজয়ী তিন পর্বতারোহী দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, মলয় মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস বিশ্বাসও সুনীতার এভারেস্ট জয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
প্রতিপদে মৃত্যুর হাতছানি। তবু দুর্নিবার আকর্ষণ। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের পথে পা বাড়ান পর্বতারোহীরা। কেউ সফল হন। কাউকে ফিরতে হয় ব্যর্থ মনে। তেমনই একজন সুনীতা হাজরা। কোনওক্রমে প্রাণটুকুই সম্বল করে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন বীরাঙ্গনা সুনীতা। জানিয়েছিলেন এভারেস্ট জয়ের সাফল্য। সুনীতা ফিরলেও পাহাড়দেশেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দুই পর্বতারোহী গৌতম ঘোষ ও পরেশচন্দ্র নাথ। কিন্তু এখন তিন পর্বতারোহীর এভারেস্ট সামিট নিয়েই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে নেপাল সরকারের প্রকাশ করা শংসাপত্র।