তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হাইকোর্টের আইনজীবী ও এনসিবি কর্তা
দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার এনসিবি অফিসার। গ্রেফতার হাইকোর্টের আইনজীবী দানিশ হক । আইনজীবীকে গ্রেফতার করল সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা। মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে আইনজীবীর বিরুদ্ধে।
দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে জানা যায়, গত এক মাসের মধ্যেই আইনজীবী দানিশ হক কয়েক কোটি টাকা তোলা তুলেছেন। এই ঘটনায় তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অমরেন্দ্র কুমার নামে এক এনসিবি অফিসারও। দানিশ হক ও ওই এনসিবি অফিসারকে ধরার জাল পাতেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষক দাদা বিয়ে দিচ্ছিলেন না দুই বোনের, প্রতিবেশীরা রাতে ওই বাড়ির জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখলেন...
সূত্রে জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে দানিশ হক ও অমরেন্দ্র কুমার ২ লক্ষ টাকা চেয়ে কলকাতার এক যুবককে ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন। অভিযোগ, ওই যুবককে বলা হয় ২ লক্ষ টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে। ভয় পেয়ে তদন্তকারীদের দ্বারস্থ হন ওই যুবক। এরপর তদন্তকারীদের কথামতো ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন ওই যুবক। সেই মতো নির্দিষ্ট একটি জায়গায় দানিশ হক ও অমরেন্দ্র কুমারের সঙ্গে দেখা করেন ওই যুবক। তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার সময়ই হাতেনাতে ধরা পড়েন হাইকোর্টের আইনজীবী দানিশ হক ও এনসিবি অফিসার অমরেন্দ্র কুমার।
জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এনসিবি কর্তা অমরেন্দ্র জানিয়েছে, মাদকাসক্ত ধনী পরিবারের ছেলেদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সে টাকা তুলত। তোলাবাজির টাকা পৌছে দিতে হত আইনজীবী দানিশ হক-কে। এরপর চলত নানাভাবে ব্ল্যাকমেল। টাকা না দিলেই বড় মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিত দানিশও। মাসখানেকের মধ্যেই আইনজীবী ও এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত,নারদকাণ্ডে তৃণমূল নেতা ইকবাল আহমেদের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করেছিলেন দানিশ হক।