কলকাতায় বাড়ছে এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপ, এক আক্রান্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক

Updated By: Jul 31, 2014, 11:22 PM IST
কলকাতায় বাড়ছে এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপ, এক আক্রান্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক

জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের জীবাণু নিয়ে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ভর্তি কাঁচড়াপাড়ার বাসিন্দা নারায়ণ সরকার। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। রাখা হয়েছে আইসিইউতে। রাজ্যে এনসেফ্যালাইটিস পরিস্থিতি সামাল দিতে রোগ পরীক্ষার বাড়তি কিট মজুতের সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি চলছে শূয়োর ধরা অভিযান। তবে অভিযান ঘিরে বিক্ষোভের জেরে রীতিমতো হিমশিম দশা পুলিস ও পুরকর্মীদের। আইবি অফিসার নারায়ণ সরকার। বাড়ি কাঁচড়াপাড়ার গোকুলপুরে।

কর্মসূত্রে থাকেন অসমের বড়পেটায়। ৩ জুলাই জ্বর নিয়ে ভর্তি হন গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে।  বাইশে জুলাই তাঁকে আনা হয় কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে।  পরে রেফার করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। সেখান থেকেও  ২৪ জুলাই স্থানান্তরিত করা হয় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে।  বুধবার সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষায় ধরা পড়ে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত নারায়ণবাবু। হাসপাতালের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাঁকে। নারায়ণ সরকারের চিকিত্সা সংক্রান্ত রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলায় রোগ পরীক্ষার জন্য বাড়তি কিট মজুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই বাড়তি কিট পাঠানো হচ্ছে।

সংক্রমণ আটকাতে কলকাতার বস্তি এলাকা থেকে শুয়োর সরাতে আসরে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার কলকাতার পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল এবং সংলগ্ন এলাকায় পুরসভা  শূয়োর ধরার অভিযানে নামে । বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট কুড়িটি শুয়োর।  কিন্তু শুয়োর ধরতে গিয়ে এদিন বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিস ও পুরকর্মীদের। টালা থানার ওলাইচণ্ডী রোডের নতুনপাড়ায় অভিযান শুরু হতেই পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার শুয়োর ব্যবসায়ীরা। পুলিস এবং পুরকর্মীদের বস্তিতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।  পুরসভার ট্রাক আটকেও বিক্ষোভ চলে।  চলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। ক্ষতিপূরণের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

পরে টালা থানার পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার একটি বাড়ির দরজা ভেঙে ঘর থেকে নটি শুয়োর বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। আর জি করের সঙ্গে এ দিন অভিযান চলে এস এস কে এম, এন আর এস, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকাতেও। ধরার পর  কান বিঁধিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে ট্যাগ। শূয়োরের মালিকানা কার তাও লিখে রাখা হচ্ছে ট্যাগে।
 

.