Behala murder case: ফ্ল্য়াটের সিসি ক্যামেরা অকেজো জানত খুনি? ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য
মৃতার স্বামীর অফিসে ও ছেলের স্কুলের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেহালা জোড়া খুনের ক্রমশ ঘনিভূত হচ্ছে রহস্য। একাধিক প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে শেক্সপিয়ার সরণিতে মৃতার স্বামী তপন মণ্ডলের অফিসে যাবে পুলিস। একই সঙ্গে চেতলায় মৃত ছেলের স্কুলের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে পুলিস। বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে তদন্তকারীরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে, ফ্ল্যাটের সিসি ক্যামেরা যে কাজ করছে না তা জানত খুনি।
পরিবার এবং পুলিস সূত্রে খবর, ছেলেটি স্কুল ড্রেস পরা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল এবং গলায় টাই পরা ছিল। গৃহশিক্ষক এসে দরজায় বেল বাজিয়ে দরজা বন্ধ পায় এবং চলে যান। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ক্লাস চলাকালীন ওই ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে। ক্লাস চলাকালীন বন্ধ হয়ে যায় কিনা, তা জানতে স্কুলের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: Behala murder case: জড়িত পরিচিত কেউ! বেহালা জোড়া খুনে 'মিসিং লিঙ্কে'র খোঁজে পুলিস
জানা গিয়েছে, যে ফ্ল্যাটে ঘটনাটি ঘটেছে সেই ফ্লোরে আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যেখানে দু'জন ছেলে থাকেন। ঘটনার সময়ও তাঁরা ফ্ল্যটেই ছিলেন। তবে টের পাননি বলে পুলিসের কাছে তাঁরা দাবি করেছেন। ফলে তদন্তকারীদের অনুমান, পরিচিত কেউ এসেছিল বলেই ফ্ল্যাটের দরজা খোলা হয়েছিল। মৃতার স্বামী তপন মণ্ডল জানিয়েছেন যে, বিকেল থেকেই স্ত্রী সুস্মিতার ফোন পাচ্ছিলেন না। ফোন অফ ছিল। দরজা খোলার বিষয়ে তাঁর স্ত্রী অত্যন্ত সতর্ক থাকতেন। 'কি-হোল' দিয়ে দেখে তবেই দরজা খুলতেন। সেই থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, ফ্ল্যাটের সিসি ক্যামেরা যে অকেজো রয়েছে, সেই বিষয়টি জানত খুনি।
আরও পড়ুন: Kolkata: '৯ ঘণ্টা ইডির জেরার পর ভুল বকছেন', অভিষেককে কটাক্ষ Dilip-এর
এছাড়া গৃহশিক্ষক যে বিকেল সাড়ে ৫টায় আসবেন, তাও জানত আততায়ী। যদিও গৃহশিক্ষককেও সন্দেহের বাইরে রাখা হয়নি। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।