টালিগঞ্জে বৃদ্ধ খুনের তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ, গ্রেফতার মূলচক্রী, খোঁজ চলছে শাগরেদের
টালিগঞ্জের বিপিন পাল রোডে বৃদ্ধ খুনের তদন্তভার হাতে নিল কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। ঘটনার মূল চক্রী বাড়িরই সাফাইকর্মী সোনা দাস ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। খোঁজ চলছে তার শাগরেদের। আজ ধৃত সোনা দাসকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
টালিগঞ্জের বিপিন পাল রোডে বৃদ্ধ খুনের তদন্তভার হাতে নিল কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। ঘটনার মূল চক্রী বাড়িরই সাফাইকর্মী সোনা দাস ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। খোঁজ চলছে তার শাগরেদের। আজ ধৃত সোনা দাসকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
দিনেদুপুরে বাড়ির মধ্যেই খুন হয়েছেন বিরাশি বছরের রঞ্জিত চ্যাটার্জি। মূল চক্রী হিসেবে উঠে এসেছে সাফাই কর্মী সোনা দাসের নাম। দীর্ঘদিনের পরিচিতের যোগসাজসে এই খুনের ঘটনায় হতবাক রঞ্জিত চ্যাটার্জির আত্মীয় প্রতিবেশীরা।
রঞ্জিত চ্যাটার্জির এক প্রতিবেশীই কয়েকবছর আগে আশ্রয় দিয়েছিলেন সোনা দাসকে। একদিন সেখানেই থাকার সুবাদের পাড়ার সকলেরই পরিচিত ছিল সোনা। এই খুনকে তাই বিশ্বাসভঙ্গ বলেই মনে করছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
প্রতিবেশী অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য অন্য মত ।
বৃহস্পতিবার লেক মার্কেটের ওই খুনের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নেয় গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিসি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে মূল অভিযুক্ত সাফাই কর্মী সোনা দাস। এক সাগরেদকে নিয়ে বৃদ্ধ গৃহকর্তার হাত-পা-মুখ বেঁধে লুঠপাটের ছক ছিল তার। কিন্তু রঞ্জিতবাবু চিত্কার-চেঁচামেচি শুরু করায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ধৃত সোনা দাসকে ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোনা গ্রেফতার হলেও তার সাগরেদ এখনও ফেরার। গা-ঢাকা দিতে সে বাইরের রাজ্যেও পালাতে পারে বলে পুলিসের অনুমান। তাকে ধরতে জোর তল্লাসি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।