এফআইআর-এ নাম, তবু প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন `কুখ্যাত` মুন্নাভাই
প্রথমেই পুরো ঘটনাকে উল্টে দেওয়ার চেষ্টা। একইসঙ্গে, পুলিসি তদন্তও কোনপথে হবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখা। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এমন ভূমিকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই সেই অভিযোগকে কার্যত সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা পুলিসের ভূমিকা। গার্ডেনরিচের গতকালের ঘটনায় এফআইরে নাম দেওয়া হয়নি বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার।
প্রথমেই পুরো ঘটনাকে উল্টে দেওয়ার চেষ্টা। একইসঙ্গে, পুলিসি তদন্তও কোন পথে হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এমন ভূমিকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগকে কার্যত সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা পুলিসের ভূমিকা। গতকালের গার্ডেনরিচের ঘটনায় এফআইআরে নাম থাকলেও গ্রেফতার হয়নি বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না। জানা গিয়েছে আজও এলাকায় বেমালুম ঘুরে বেড়াচ্ছেন মুন্না। এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম এ দিনও বরো অফিসে বৈঠক করেন। সেই সময়ও তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুন্না।
ঘটনার শুরু থেকে শেষ, প্রবল বিক্রমে লক্ষ্য করা গিয়েছে ১৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যান ওরফে মুন্নার উপস্থিতি। তাঁর সঙ্গীরাও যে সশস্ত্র ছিল, তারও প্রমাণও মিলেছে। পুলিস এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও এফআইআরে নাম নেই মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার। অভিযোগ উঠেছে, পুরমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যই তাঁকে ছাড় দিয়েছে পুলিস। ঘটনার পরেই ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য ছিল মুন্নাই আক্রান্ত হয়েছে।
সেই সময়ও পুরমন্ত্রীর পাশে দেখা দিয়েছে সগর্ব উপস্থিতি। শেষপর্যন্ত পুরমন্ত্রীর পাশে এই সগর্ব উপস্থিতির কারণেই কী গ্রেফতার করা যায়নি মুন্নাকে? এমনকী তাঁর নেতৃত্বে হামলা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়নি। যদিও দিনকয়েক আগে এই ধরনেরই একটি ঘটনায় কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রনোদিত মামলা দায়ের করেছিল পুলিস।