'ঘর' ছাড়তে চান মুকুল
দিল্লির দুটি সরকারি বাসভবন ছাড়তে চান তিনি। এই মর্মে রাজ্যসভার হাউস কমিটির কাছে চিঠি দিলেন মুকুল রায়। এরমধ্যে একটিতে ছিল তৃণমূলের কার্যালয়। পরিবর্তে নতুন বাড়ির জন্য আবেদনও করেছেন তিনি। গতকাল রাতেই শহরে ফেরেন মুকুল রায়। রবিবার রাতে অথবা সোমবারই ফের দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি।
ওয়েব ডেস্ক: দিল্লির দুটি সরকারি বাসভবন ছাড়তে চান তিনি। এই মর্মে রাজ্যসভার হাউস কমিটির কাছে চিঠি দিলেন মুকুল রায়। এরমধ্যে একটিতে ছিল তৃণমূলের কার্যালয়। পরিবর্তে নতুন বাড়ির জন্য আবেদনও করেছেন তিনি। গতকাল রাতেই শহরে ফেরেন মুকুল রায়। রবিবার রাতে অথবা সোমবারই ফের দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি।
১৮১ এবং ১৪১ সাউথ অ্যাভিনিউ। দিল্লির এই বাড়ি দুটির মধ্যে১৮১ নম্বরে ছিল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। পাশের ১৪১ নম্বরে থাকতেন মুকুল রায়। আগেই ১৮১ নম্বর বাড়ি থেকে তাঁর নিজের জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পাল্টা চাল দিলেন মুকুল রায়। শনিবার রাজ্যসভার হাউস কমিটির কাছে তাঁর নামে নেওয়া দুটি বাড়িই ছাড়তে চেয়ে চিঠি দেন মুকুল। নিজের জন্য অন্য একটি বাড়ি চেয়েছেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য কলকাতায় দলের কর্মসমিতির বৈঠকে মুকুল রায়ের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কুর্সি থেকে মুকুল রায়কে সরিয়ে বসিয়েছেন সুব্রত বক্সিকে। একইসঙ্গে বার্তা দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই মুকুল রায়ের।
শনিবার রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন মুকুল রায়। বিমানবন্দরে অবশ্য একই বার্তা দিলেন তিনি। তাঁকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা তা সময়ই বলবে।
একইসঙ্গে যাঁরা দায়িত্ব পেলেন তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেননি মুকুল। রবিবার দুপুরে নিজাম প্যালেসে যাবেন মুকুল রায়। দেখা করবেন অনুগামীদের সঙ্গে । তাঁর সঙ্গে কারা কারা দেখা করতে আসছেন, সেদিকেও নজর থাকবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। সংসদে অধিবেশন চলছে তাই রবিবার রাতে বা সোমবার সকালেই দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে মুকুল রায়ের।