অস্তাচলে মুকুল, হঠাত কালীঘাটে 'পশ্চিমে সূর্যোদয়' শুভেন্দুর
মুকুল রায়কে পদচ্যূত করার দিনই কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে শুরু হল শুভেন্দুর উদয়। গতকাল দলের কর্মসমিতির বৈঠকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলে বিদ্রোহী মুখ বলে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী হঠাত কেন হয়ে উঠলেন তৃমমূলের ব্লু আইয়েড বয় ? জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।
ওয়েব ডেস্ক: মুকুল রায়কে পদচ্যূত করার দিনই কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে শুরু হল শুভেন্দুর উদয়। গতকাল দলের কর্মসমিতির বৈঠকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলে বিদ্রোহী মুখ বলে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী হঠাত কেন হয়ে উঠলেন তৃমমূলের ব্লু আইয়েড বয় ? জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।
কারো পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। এই প্রবাদটা বোধহয় খেটে গেল তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কোনওদিনই সুসম্পর্ক ছিল না শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূল নেত্রীকে বাদ দিয়ে নানান কর্মসূচি নেওয়াসহ একাধিক ইস্যুতে বেশ কয়েক বছর ধরে তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তমলুকের সঙ্গে কালীঘাটের বাসিন্দার। কখনও রটেছে দল ছাড়ছেন বিদ্রোহী শুভেন্দু।
সম্প্রতি দলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব শুভেন্দুকে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূলে মুকুল রায়ের অস্ত যাওয়ার দিনই কালীঘাটে শুরু হল শুভেন্দু উদয়। শনিবার দলের কর্মসমিতির বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর হাতে অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব তুলে দেন তৃণমূল নেত্রী।
একসময় যে শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্য সভায় দায়িত্ব না পাওয়ার জন্য ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন, সেই শুভেন্দুই এখন তৃণমূল শিবিরে ব্লু আইয়েড বয়। সূত্রের খবর, শনিবারের বৈঠকে তাঁর দেওয়া তালিকা থেকে বেশ কয়েকজনকে দলের কর্মসমিতির স্থায়ী সদস্য পদে মেনে নেন তৃণমূল নেত্রী। পুরসভা ভোটেও শুভেন্দুকে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখানেই উঠছে প্রশ্ন। হঠাত কী এমন ঘটল যাতে রাতারাতি তৃণমূলের ব্লু আইয়েড বয় হয়ে উঠলেন শুভেন্দু? সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর বিদ্রোহী মনোভাবের কথা বিলক্ষণ জানেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর বহিপ্রকাশ কী হতে পারে তা নিয়েও সতর্ক দল। সেকারণেই সম্ভবত শুভেন্দুকে আরও কাছে টানার প্রয়াস।
এরাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে নিজস্ব কিছু শক্তি আছে যাঁর তিনি শুভেন্দু অধিকারী। ফলে কোনও কারণে শুভেন্দু কিছু করলে এই অবস্থায় সেটা দলের কাছে বড় চাপ হয়ে যাবে। যার প্রভাব পড়বে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় দলের সংগঠনে।
মুকুল রায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর একটা বড় মিল হল দুজনেই সংগঠনটা খুব ভাল বোঝেন। সংগঠন তৈরি করার ক্ষেত্রে দুজনেরই পারদর্শিতা আছে। এবং রাজ্যস্তরে বিশেষ করে ছাত্র যুব এই অংশের মধ্যে শুভেন্দুর গ্রহণযোগ্যতা অপরিহার্য। বিশেষ করে নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর।
ফলে সব মিলিয়ে মুকুল রায়কে হারিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সাংগঠনিক শক্তিকেই ব্যবহার করতে চাইছে দল। আর তাই রাতারাতি তমলুকের সাংসদ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লু আইয়েড বয়। এমনটাই জল্পনা রাজনৈতিকমহলে।