রেফারের গেরোয় রোগীমৃত্যু, ভাঙচুর এমআর বাঙুর হাসপাতালে
ওয়েব ডেস্ক : রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম এমআর বাঙুর হাসপাতালে। হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক ভাঙচুর চালান রোগীর আত্মীয়রা। অভিযোগ, একাধিক হাসপাতালে বার বার নিয়ে গেলেও ভর্তি নেওয়া হয়নি ওই রোগীকে। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
মৃত বিশ্বনাথ পাড়িয়ার পরিজনদের দাবি, শুক্রবার বিকেলে ধুম জ্বরের মধ্যে বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান বিশ্বনাথবাবু। কলকাতার চারু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে লাগোয়া এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান আত্মীয়রা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করে চিকিৎসকরা জানান, রোগীর অবস্থা গুরুতর নয়, তাই তাঁকে ভর্তি নেওয়া যাবে না। বাড়ি নিয়ে গিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তাঁরা। রাতে কোনও সমস্যা হলে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় এমআর বাঙুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন - লক্ষ্য ২০২২, বৃহস্পতিবার বুলেট ট্রেন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদী
এমআর বাঙুর হাসপাতালে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিশ্বনাথবাবুকে এসএসকেএমে নিয়ে যান আত্মীয়রা। সেখানে জানানো হয়, ভর্তি করার মতো গুরুতর অবস্থা হলেও শয্যা খালি না থাকায় ভর্তি নেওয়া যাবে না। বিশ্বনাথ বাবুকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন বাড়ির লোকজন।
রাতে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে দুদফায় এমআর বাঙুর হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ, শত অনুরোধেও কাজ হয়নি। শনিবার সকালে পরিস্থিতি গুরুতর বুঝে ফের বিশ্বনাথবাবুকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মৃত্যু হয় বিশ্বনাথবাবুর।
এর পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছড়ে পড়ে রোগীর আত্মীয়দের। দীর্ঘক্ষণ দেহ ইমারজেন্সি বিভাগে ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ভাঙচুর চলে হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
পরিবারের দাবি, ডেঙ্গু হয়েছিল বিশ্বনাথবাবুর। দেহের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।