ল্যান্সডাউনে পুজোর ভাসানের সময় শ্লীলতাহানির চেষ্টা, মারধর
গণেশ পুজোর ভাসানের সময় শ্লীলতাহানির চেষ্টা। তা-ও আবার ল্যান্সডাউনের মতো অভিজাত এলাকায়। শুক্রবার রাতের এই ঘটনার পর দুষ্কৃতীরাই উল্টে মারধর করল প্রতিবাদীদের। বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকেনি। হাসপাতালে ঢুকেও মারধর করা হয় তাঁদের। পুলিস যথারীতিঠুঁটো জগন্নাথ।
গণেশ পুজোর ভাসানের সময় শ্লীলতাহানির চেষ্টা। তা-ও আবার ল্যান্সডাউনের মতো অভিজাত এলাকায়। শুক্রবার রাতের এই ঘটনার পর দুষ্কৃতীরাই উল্টে মারধর করল প্রতিবাদীদের। বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকেনি। হাসপাতালে ঢুকেও মারধর করা হয় তাঁদের। পুলিস যথারীতিঠুঁটো জগন্নাথ।
শুক্রবার রাতে লেক থানা এলাকার মোতিলাল নেহরু রোড দিয়ে গণেশ পুজোর ভাসানে যাওয়ার সময় ১১ বছরের এক কিশোরীর হাত ধরে টানাটানি করে ভাসানযাত্রী একটি ছেলে। ভয়ে, লজ্জায় দ্রুত এলাকা থেকে চলে যায় মেয়েটি। কিন্তু ঘটনাটি নজর এড়ায় না মেয়েটির অন্য পাড়া-প্রতিবেশীর।
ভিকি রায় এবং সোমনাথ শর্মা নামে দুই ভাসানযাত্রী এগিয়ে এসে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত ছেলেটি এবং তাঁর দুজন সঙ্গী বেধড়ক মারধর করে তাঁদের।
এরপর আহত অবস্থায় ভিকি এবং সোমনাথকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানেও রেহাই পাননি তাঁরা। হাসপাতালে ঢুকে তাঁদের আরেকপ্রস্থ মারধর করে অভিযুক্তরা। এই ভাবে হাসপাতালে ঢুকে মারধরের ঘটনায় শিশুমঙ্গল হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আহত অবস্থায় শিশুমঙ্গল থেকে
ভিকি এবং সোমনাথকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই তাঁদের চিকিত্সা চলছে।
অভিযুক্তরা এখনও অধরা। ভাসানের সময় কী ভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না, কেন এখনও অভিযুক্তরা অধরা--পুলিস এ সব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।