'তোষণ নয়, উন্নয়ন চাই', এই দাবিতে সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মাদ্রাসা শিক্ষকরা
দাবি আদায়ে একটানা অনশনে রাজ্যের কয়েক শো মাদ্রাসা শিক্ষক। পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংখ্যালঘু যুব সংগঠন। তাহলে কি রাজ্য সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের একাংশ? বিধানসভা ভোটের আগে চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের।
ওয়েব ডেস্ক: দাবি আদায়ে একটানা অনশনে রাজ্যের কয়েক শো মাদ্রাসা শিক্ষক। পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংখ্যালঘু যুব সংগঠন। তাহলে কি রাজ্য সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের একাংশ? বিধানসভা ভোটের আগে চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের।
গত কয়েক বছরে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে রাজ্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন একাধিক সংখ্যালঘু নেতা। এবার সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মাদ্রাসা শিক্ষকরা। তোষণ নয়, উন্নয়ন চাই, এই দাবিতে পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংখ্যালঘুদের যুব সংগঠন।
বাম আমলে সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত প্রায় পাঁচশোটি মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রর শিক্ষকরাও এখন আন্দোলনে সামিল। ওই শিক্ষাকেন্দ্রগুলিকে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের আওতায় আনা এবং নিয়মিত শিক্ষকদের মতো সুযোগসুবিধার দাবিতে গত চার সপ্তাহ ধরে রিলে অনশনে তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠকে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সেই দাবি কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
এই মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রগুলির অনুমোদন দুবছর অন্তর পুনর্নবীকরণ হয়। যদিও শিক্ষাকেন্দ্রের কর্মীদের বেতন দেয় রাজ্য। সেই কারণেই সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে সরব তাঁরা।
দুহাজার এগারোর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের । এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘুদের জন্য একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার সেই সংখ্যালঘুদরেই একাংশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল। বিধানসভা ভোটের আগে এই আন্দোলন দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্বের কপালে।