DA, Sovandeb Chattopadhyay: 'মুখ্যমন্ত্রী বলেননি ডিএ দেবেন না', সরকারী কর্মচারীদের আশ্বাস মন্ত্রী শোভনদেবের!
'কর্মচারীদের বর্ধিত হারে ডিএ দিলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে', সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: 'বর্ধিত হারে ডিএ দিলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে'। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের পিটিশনের পর এবার সরকারি কর্মচারীদের আশ্বস্ত করলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়! বললেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেননি ডিএ দেবেন না। সময় হলে ডিএ দেবেন'।
কেন্দ্রীয় হারে কি ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারী কর্মচারী? আইনি লড়াই অব্যাহত এখনও। রাজ্য সরকারকে ৩ মাসের মধ্যে কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চে সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ডিভিশন বেঞ্চ। এবার মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েছে রাজ্য। হলফনামায় উল্লেখ,'হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কর্মচারীদের বর্ধিত হারে ডিএ দিলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে'। কেন এমন পরিস্থিতি? এদিন বিধানসভায় ডিএ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জবাবে তিনি বলেন, 'আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সবল করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ডিএ দিতে পারছেন না। ডিএ দেবেন না, একথা বলেননি নিশ্চয়ই। সময় হলে দিয়ে দেবেন'।
কী প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের? বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাবি, 'একবারও এটাও বলেননি যে দেবেন। বরং ওনার ব্যবহারে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে দিতে চাননি। একবার হাইকোর্ট, একবার সুপ্রিম কোর্ট করে যাচ্ছেন। সরকারি কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। মুখ্যমন্ত্রী তো সরকারি পয়সায় লড়ছেন, কর্মচারীদের নিজেদের পয়সায় লড়তে হচ্ছে'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'পার্টি লোকেদের খাওয়াতেই যদি টাকা চলে যায়, তাহলে কর্মচারীরা তো বঞ্চিত হবেনই। কেন্দ্রীয় সরকার হাজার কোটি টাকা দিল। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না! কিন্তু কেন্দ্রের টাকা তো আর ডিএ হবে না'।
আরও পড়ুন: নজরে উত্তর-পূর্ব, মেঘালয় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এর আগে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে বা স্যাটে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। স্রেফ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া নয়, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ৩ মাসের মধ্য়েই যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেয় স্যাট। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। এরপর যখন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি, তখন ডিএ মামলায় স্যাটের নির্দেশই বহাল রাখে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।