রাজাবাজার থেকে উদ্ধার ২০ টন ভাগাড়ের মাংস, উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য

মৃত্যুর পর মরা পশুর দেহ ফেলা হয় ভ্যাটে।  ভাগাড় থেকে মরা পশু তুলে প্রক্রিয়াকরণ করা হত। তারপর ছোট ছোট টুকরো করে সেই মাংস-ই পৌঁছে দেওয়া হত হোটেল রেস্তোরাঁয়। 

Updated By: Apr 26, 2018, 02:09 PM IST
রাজাবাজার থেকে উদ্ধার ২০ টন ভাগাড়ের মাংস, উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাগাড়কাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। শিয়ালদহের কাছে রাজাবাজার থেকে উদ্ধার প্রচুর ভাগাড়ের মাংস। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই মাংসই মিশিয়ে সরবরাহ করা হত বিভিন্ন এলাকায়। ঘটনায় বিহারের নওদা থেকে গ্রেফতার মূল পাণ্ডা সানি মালিক। আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ ২৪পরগনার পুলিস। রাজাবাজারের আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ উদ্ধার হয়েছে ২০ টন ভাগাড়ের মাংস। মাংস উদ্ধারে ট্যাংড়া, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল-সহ একাধিক জায়গায় হানা দিচ্ছে পুলিস।

গত শুক্রবারই জি ২৪ ঘণ্টায় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে ফাঁস হয় মরা পশুর মাংসের রমরমা কারবার।

আরও পড়ুন: শিয়ালদা বাজারে ভাগাড়ের মরা পশুর মাংসের কারবার! মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

কীভাবে চলত সেই কারবার?

মৃত্যুর পর মরা পশুর দেহ ফেলা হয় ভ্যাটে।  ভাগাড় থেকে মরা পশু তুলে প্রক্রিয়াকরণ করা হত। তারপর ছোট ছোট টুকরো করে সেই মাংস-ই পৌঁছে দেওয়া হত হোটেল রেস্তোরাঁয়। 

আরও পড়ুন: শাঁখা-সিঁদুর পরে অন্য পুরুষের পাশে হবু স্ত্রী! ফেসবুকে ছবি দেখেই বিয়ে বাতিল

এই কারবার ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি চক্র সক্রিয় ছিল। ঘটনায় উঠে আসে বজবজ পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী রাজা মল্লিক। বৃহস্পতিবার বজবজ পুরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডে ভ্যাটের সামনে গাড়ি নিয়ে আসে রাজা ও গাড়ির চালক শ্যামলাল। মরা পশু তুলে গাড়ি তোলার সময় এলাকার মানুষই হাতে নাতে ধরে ফেলেন তাঁদের। আটক করা হয় ২ জনকে। তাঁদের জেরা করেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিস প্রশাসনের পাশাপাশি নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুরসভাও।

.