শতায়ু মনোহর আইচকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করল রাজ্য সরকার
বিশ্বের দরবারে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন তিনি। ডিসিপ্লিনড লাইফস্টাইলের আইকন সেই বিশ্বশ্রীর মুকুটেই এবার নয়া পালক। শতায়ু মনোহর আইচকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করল রাজ্য সরকার।
ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বের দরবারে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন তিনি। ডিসিপ্লিনড লাইফস্টাইলের আইকন সেই বিশ্বশ্রীর মুকুটেই এবার নয়া পালক। শতায়ু মনোহর আইচকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করল রাজ্য সরকার।
ব্রিটিশ জমানায় জেলখানার আঁধার সেঁচেই মানিকের হদিস পেয়েছিলেন তিনি। উপলব্ধি করেছিলেন, স্বাস্থ্যই সম্পদ।শরীরচর্চার সেই শুরু। তারপর সেই বডি বিল্ডিংয়ের হাত ধরেই ছোটোখাটো মানুষটি একদিন তাক লাগিয়ে দিলেন তামাম দুনিয়াকে। বিশ্বশ্রী খেতাব জিতে পঞ্চাশের দশকে জগত্সভায় বাঙালিকে সেরার আসনে বসান মনোহর আইচ।
পকেট হারকিউলিস ডাকনামেও কেউ কেউ চিনতেন তাঁকে। ঝড়ঝাপটা কম আসেনি। তবু স্রেফ পুষ্টিকর পরিমিত আহার আর টেনশনহীন অফুরান জীবনীশক্তি পুঁজি করে বিশ্বশ্রী বরাবরই বিন্দাস। নব্বই পেরিয়েও এই তো সেদিনও ছেলে আর নাতিপুতিদের সঙ্গে দিব্যি গেছেন জিমে। তিনবছর আগে শততম জন্মদিনও কাটিয়েছেন দারুণ হুল্লোড়ে।
পরিস্থিতি যেমনই আসুক। সবসময়েই তিনি সুখী। এই মনোভাবই সানন্দে বেঁচে থাকার মূল মন্ত্র বিশ্বশ্রীর। সেই মেজাজ ধরে রেখেই সেঞ্চুরি পেরিয়ে তিনি এখনও নট আউট। বুধবার বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে বঙ্গবিভূষণ সম্মান তুলে দেন রাজ্যের যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
সানন্দে বিশ্বশ্রী দীর্ঘায়ু হোন, এটুকুই প্রার্থনা।