বিশ্বভারতীর হস্টেলে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার নোটিস দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনাচক্রে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংই বিশ্বভারতীর আচার্য। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও আদালত অবমাননার নোটিস দেওয়া হয়েছে। আদালতের রায়ে আগেই নিষিদ্ধ হয়েছে কর্পোরাল শাস্তি।
কর্পোরাল পানিশমেন্ট নিয়ে ২০০৯ সালে একটি মোকদ্দমা করেন আইনজীবী তাপস ভঞ্জ। সেই মামলার পটভূমিতে আদালত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নির্দেশিকা জারি করে। বিশ্বভারতীর করবী হস্টেলে ৫ বছরের ছাত্রীকে নিজের প্রস্রাব খেতে বাধ্য করার ঘটনার পর তাপস ভঞ্জ বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন। ওই মামলায় আচার্য মনমোহন সিং এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। কর্পোরাল শাস্তি নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও করবী হস্টেলের ঘটনায় বিধি ভঙ্গের জন্য দায়ী করা হয়েছে দুপক্ষকেই।
বিশ্বভারতীর করবী ছাত্রী নিবাসের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলেছিল। ওয়ার্ডেন উমা পোদ্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই প্রস্রাব খেতে বাধ্য করেন ছাত্রীকে। ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রীটি। পরিবারের তরফে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার গ্রেফতার হন অভিযুক্ত ওয়ার্ডেন। জামিনে মুক্তিও পেয়ে যান কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। পুলিসের বক্তব্য, ছাত্রীর অভিভাবকদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ওই ছাত্রীকে জোর করে রাতে ছাত্রীনিবাস থেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। ছাত্রীর বাবা-মা সহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিস। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের তরফে কোনও এফআইআর দায়ের করাই হয়নি। ওই ছাত্রীর চিকিত্সার প্রয়োজন হলে তার খরচ অভিযুক্ত ওয়ার্ডেনের মাইনে থেকে কেটে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বোলপুর আদালত। এই খরচ দিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকবে বলে সোমবার জানায় আদালত।
বিশ্বভারতী কাণ্ডে আদালত অবমাননার নোটিস প্রধানমন্ত্রীকে, নোটিস রাজ্য সরকারকেও