মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী
দশই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন আমন্ত্রণ জানালেও প্রথা ভেঙে অনুষ্ঠানে থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দেশের প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরও ১০ তারিখের অনুষ্ঠানে থাকবেন। এরমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর গরহাজিরের কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
দশই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন আমন্ত্রণ জানালেও প্রথা ভেঙে অনুষ্ঠানে থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দেশের প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরও ১০ তারিখের অনুষ্ঠানে থাকবেন। এরমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর গরহাজিরের কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে প্রতিবছরই রাজ্য মানবাধিকার কমিশন যে অনুষ্ঠান করে তাতে উপস্থিত থাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না। রাজ্য সরকারের তরফে আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা। যদিও তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। গত দেড় বছরে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার কমিশন, যা পছন্দ হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সব প্রসঙ্গ এড়াতেই এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় এক কৃষক, শিলাদিত্য চৌধুরী, সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারের আকাশ ছোঁয়া দাম নিয়ে প্রশ্ন করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মাওবাদী তকমা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিসকে নির্দেশ দেন শিলাদিত্যকে গ্রফতার করার।তাকে মাওবাদী বলে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন তিনি। এ নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। মানবাধিকার কমিশনও গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানায়। সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মুখ্যমন্ত্রীর কার্টুন শেয়ার করে সরকারের তোপের মুখে পড়েন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। এক্ষেত্রেও এইরকমভাবে সমালোচিত হন মুখ্যমন্ত্রী। অম্বিকেশ মহাপাত্রের গ্রেফতারের প্রতিবাদ করে মানবাদিকার কমিশনও। নগরপাল সহ কয়েক পুলিস কর্তাকে কমিশনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করে কমিশন। এর জন্যও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অশোক গাঙ্গুলিকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
একটি ইংরেজি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তানিয়া ভরদ্বাজের প্রশ্ন শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে মাওবাদী তকমা দিয়ে, অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন সহ গোটা দেশের সংবাদমাধ্যমের সমালোচনার মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে উঠে আসতেই পারে এইসব প্রসঙ্গ। যে প্রসঙ্গগুলিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার সমালোচনা করেছে কমিশন, তাদেরই অনুষ্ঠানে ওই প্রসঙ্গ উঠলে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়তে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রশ্ন উঠছে, এই অস্বস্তি এড়াতেই কি অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী?