আর্থিক সাহায্যে কেন্দ্রীয় বৈষম্যের অভিযোগ তুমলেন মুখ্যমন্ত্রী
আর্থিক সহায়তা ইস্যুতে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজস্বের পুরোটাই নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাম সরকারের করা ঋণের কারণে নতুন করে ঋণও করতে পারছে না রাজ্য সরকার।
আর্থিক সহায়তা ইস্যুতে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজস্বের পুরোটাই নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাম সরকারের করা ঋণের কারণে নতুন করে ঋণও করতে পারছে না রাজ্য সরকার।
রাজ্যের ভাঁড়ারে হাঁড়ির হালের জন্য বার বার কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারও তার অন্যথা হলনা। নেতাজি ইন্ডোরে মিলনমেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যকে কোনওরকম আর্থিক সহায়তা করছে না কেন্দ্র। এমনকি, নতুন ঋণ করার ক্ষেত্রেও লক্ষ্মণরেখা বেধে দেওয়া হয়েছে।
নতুন করে কেন্দ্রীয় ঋণ না মেলায় মুখ্যমন্ত্রীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও, চিটফান্ডের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে খুব একটা সরব নন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ, চিটফান্ডের সঙ্গে কেন্দ্রের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কযুক্ত। কেন্দ্রীয় নীতি অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের ভাঁড়াড়ে যে পরিমান টাকা স্বল্প সঞ্চয় খাতে জমা থাকে, সেই পরিমান টাকা সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে ঋণ হিসেবে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। পরিসংখ্যান বলছে এই মুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গে স্বল্পসঞ্চয় খাতে জমা রাখা টাকার পরিমান বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। তার কারণ, চিটফান্ডের বাড়বাড়ন্ত। স্বল্পসঞ্চয়ের বেশিরভাগটাই সরকারের ঘরে জমা না পড়ে চলে যাচ্ছে ভুঁইফোড় এই সব সংস্থাগুলির দফতরে। মিলছে না রাজস্ব। ফলে সম্ভাবনা কমেছে কেন্দ্রীয় ঋণের। মুখ্যমন্ত্রী মুখ না খুললেও, সমস্যার কথা স্বীকার করছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। যদিও তিনিও সমস্যা সমাধানের দায় চাপিয়েছেন কেন্দ্রের ওপরই।
আর্থিক ভাঁড়ার শূণ্য হলেও, এ দিনের অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য বিভিন্ন খাতে ঋণদানের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংখ্যালঘু বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে অর্থসাহায্যও করা হয়। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রচার করার কথাও এদিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।