এবার হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
মঙ্গলবার সাধারণ ধর্মঘটের দিন যে সমস্ত সরকারি কর্মীরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের সার্ভিস ব্রেক হতে পারে। সোমবার মহাকরণে এই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, যে সমস্ত কর্মীরা অফিসে আসবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। ধর্মঘট ব্যর্থ করারও আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সাধারণ ধর্মঘটের দিন যে সমস্ত সরকারি কর্মীরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের সার্ভিস ব্রেক হতে পারে। সোমবার মহাকরণে এই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, যে সমস্ত কর্মীরা অফিসে আসবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। ধর্মঘট ব্যর্থ করারও আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, কাল ট্রেন-বাস-ট্রাম সবই রাস্তায় থাকবে। কর্মস্থলে যোগ দিতে কোনও সমস্যা হবে না। মঙ্গলবার, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় মিছিল করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রাজ্যের অগ্রগতিকে স্তব্ধ করে দিতেই এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
‘ব্রেক অফ সার্ভিস রুল’ রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহুর্তে অন্যতম আলোচনার বিষয়। এগারোটি শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের সক্রিয় বিরোধিতা করছে রাজ্য সরকার। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্মঘটের দিন কাজে যোগ না-দিলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সরকার। এমনকী, ব্রেক অফ সার্ভিস করতেও পিছপা হবে না রাজ্য সরকার। সরকারকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এমন অধিকার নেই সরকারের। কিন্তু কী বলছে সরকারি আইন? দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস রুলস পার্ট ওয়ান বলছে, প্রতিটি সরকারি কর্মচারীর শ্রমিক সংগঠন করার এবং ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে নতুন আইন করেনি রাজ্য সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে আইনকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে রাজ্য সরকার?