ভরা কোটালের জলে ভাসল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া

ভরা কোটালের জলে থইথই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। ভাসছে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া। রাস্তা ছাপিয়ে জল ঢুকেছে বাড়ির অন্দরেও। কিছুটা উঁচু হওয়ায় বেঁচে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িটুকু। বাকি গোটা পাড়াই গোড়ালি জলের তলায়। চারবছরে এমন ছবি দেখেননি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মানুষ। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বাসিন্দারা।   

Updated By: Aug 3, 2015, 07:17 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: ভরা কোটালের জলে থইথই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। ভাসছে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া। রাস্তা ছাপিয়ে জল ঢুকেছে বাড়ির অন্দরেও। কিছুটা উঁচু হওয়ায় বেঁচে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িটুকু। বাকি গোটা পাড়াই গোড়ালি জলের তলায়। চারবছরে এমন ছবি দেখেননি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মানুষ। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বাসিন্দারা।   

এদিকে, নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাত্রিবাস করলেও জেলায় জেলায় ত্রাণ নিয়ে নানা অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী রাত জেগে নির্দেশ দেওয়ার পরও কেন কাঠগড়ায় প্রশাসন?   

যতদূর চোখ যায় শুধুই জল। মাঠ-পুকুর-নদী-রাস্তা আলাদা করে বোঝার জো নেই। প্রায় গোটা দক্ষিণবঙ্গেই এই ছবি।

বানভাসি ১২টি জেলা। দুর্গতের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ। ২১০টি ব্লক জলের তলায়। প্রায় ১০ হাজার গ্রাম প্লাবিত। ক্ষতিগ্রস্ত ৪৭টি পুরসভা।

বন্যার খবর পেয়েই লন্ডন সফর কাটছাঁট করে ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ঘুরে এসেছেন জেলা থেকেও।

রবিবার ছুটির দিনেও নবান্নে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল থেকে সারারাত। দফায় দফায় বৈঠক করলেন। জেলার খবর নিলেন। দিলেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ।

ডিভিসির জলে মন্তেশ্বরের ১‍৫টি গ্রাম জলের তলায়। ২৫ হাজার মানুষ জলবন্দি।

কান্দি, হিজল, ভরতপুর, বড়ঞাঁর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ব্রাহ্মণী নদীর জল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঘরবাড়ি।

পর্যাপ্ত ত্রাণ না মেলায় সোমবার নন্দকুমারে বিক্ষোভ দেখান বানভাসি মানুষজন।

মুখ্যমন্ত্রী যখন ত্রাণশিবিরে যাওয়ার কথা বলছেন, তখন জেলায় জেলায় ত্রাণ আসছে না বলে অভিযোগ। নবান্নে রাত্রিবাসের পরও কেন এই অবস্থা? বিরোধীরা বলছেন,

 

নিজের প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখতে না পেরেই কি তা হলে মুখ্যমন্ত্রীকে নবান্নে রাত জাগতে হল?

রাতভর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও জেলা প্রশাসন কেন সব জায়গায় ঠিকমতো ত্রাণের ব্যবস্থা করে উঠতে পারল না?

নবান্নের পরিকল্পনায় যদি কোনও ভুল না থাকে তা হলে জেলা বা ব্লক স্তরে সমন্বয়ের অভাবেই ত্রাণ বিলি নিয়ে অভিযোগ উঠছে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী কি সে দায় এড়াতে পারেন? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

     

.