গুজরাটি নিয়ে আপত্তি নেই, জয়েন্ট পরীক্ষায় বাংলা ভাষা কেন থাকবে না? প্রশ্ন মমতার
১১ নভেম্বর রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে ভাষা নিয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল।
কমলিকা সেনগুপ্ত: জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় বাংলা ভাষা বাদ পড়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর দলনেত্রী জানালেন, হিন্দি ও ইংরেজির ঢোকানো হয়েছে গুজরাটি ভাষা। ব্রাত্য করা হয়েছে বাংলা, মরাঠি, তামিলকে। ১১ নভেম্বর জয়েন্ট এন্ট্রাসে বাংলা ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগের দাবিতে ব্লকে ব্লকে সভা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জয়েন্ট এন্ট্রাসে হিন্দি, ইংরেজি ও গুজরাটি ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা। বাকি আঞ্চলিক ভাষাগুলিকে কেন বাদ দেওয়া হল? সেনিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার একই প্রশ্ন তুলে দিলেন মমতা। বলেন,''জয়েন্ট এন্ট্রাসে হিন্দি ও ইংরেজি ছিল। গুজরাটিকে ঢোকানো হয়েছে। আমার গুজরাটি নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সব ভাষা ঢোকানো হবে না কেন? বাংলা ভাষা রাখার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওরা বলেছিল, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট চিঠি পাঠিয়েছিল। তাহলে মরাঠি কেন হল না? চিঠি আগেই পাঠানো হয়েছিল। বলতে হয় বলে দিল। শিক্ষানীতি থেকে অনেক কিছুই পরিবর্তন করা হচ্ছে।''
মমতা আরও বলেন,''বাংলা-সহ অন্যান্য রাজ্যের ভাষাও রাখতে হবে জয়েন্ট এন্ট্রাসে। জয়েন্টে হিন্দি, ইংরেজি ছিল। গুজরাটিতে পরীক্ষা দিলে ভালো নম্বর পাবেন গুজরাটের পড়ুয়ারা। বাঙালি ছেলেরা পাবে না। তামিল, মরাঠিই বা কেন হবে না? ওড়িয়াই বা কেন হবে না? রাজস্থানেরও একটা স্থানীয় ভাষা আছে। বিহার, ইউপিতে আছে ভোজপুরী।''
বাংলা ভাষায় জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়ার দাবিতে ৭ নভেম্বর কেন্দ্রকে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ পড়ুয়াই দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়াশুনো করে। কিন্তু ২০২০ সালে জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষা হতে চলেছে ইংরেজি, হিন্দি ও গুজরাটিতে। এর ফলে সমস্যায় পড়বেন বাংলার সম্ভাবনাময় ছাত্রছাত্রীরা। কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় সকলের সমান সুযোগ পাওয়া উচিত। ভারতীয় সংবিধানের ৮ নম্বর তপশিলীতে রয়েছে ২২টি অফিসিয়াল। তার মধ্যে বাংলাও আছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছে রাজ্য।
বিস্তারিত আসছে...