শুধু তৃণমূল নেতৃত্বই লখিমপুরে ঢুকতে পেরেছিল, Mamata-র নিশানায় Congress?
বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে একটি দল আগেই লখিমপুরে পৌছে গিয়েছে। আরেকটি দল প্রশাসনিক অনুমতির পরেও লখিমপুর পৌছতে পৌঁছতে দিন কাবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০২৪ সালকে মাথায় রেখে জিতে আসার পরই শক্তিশালী বিকল্প গঠনের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই লক্ষ্যে দিল্লি গিয়ে সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন। কিন্তু বারবার হোঁচট খাচ্ছে বিরোধী জোট গঠনের প্রক্রিয়া। কংগ্রেসকে নিশানা করে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি-তৃণমূল আঁতাঁত রয়েছে বলে পাল্টা তোপ দাগছেন অধীর চৌধুরী। এবার লখিমপুরকে নিয়েও কংগ্রেস ও তৃণমূল বিতণ্ডা তুঙ্গে।
বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে একটি দল আগেই লখিমপুরে পৌছে গিয়েছে। আরেকটি দল প্রশাসনিক অনুমতির পরেও লখিমপুর পৌছতে পৌঁছতে দিন কাবার। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-বিরোধী আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠা লখিমপুর নিয়ে এই মুহূর্তে বিরোধী শিবিরেই লঙ্কাকাণ্ড। যার একদিকে কংগ্রেস, অন্যদিকে তৃণমূল। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) জিজ্ঞাস্য,''সবাইকে আটকানো হয়নি। দু'টি দল গতকাল গিয়েছিল- টিএমসি ও ভীম আর্মি। শুধু আমাদের আটকানো হয়েছিল। বাকিদের যেতে দিয়েছে। আমরা কী ভুল করেছি?''
তার জবাবে রাহুলকে পার্ট টাইম রাজনীতিক বলে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ''বিকৃত তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না রাহুল গান্ধী। উনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যর্থ। পার্টটাইম রাজনীতিকের অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য মেনে নেবে না তৃণমূল।''
বিকেলে 'জাগো বাংলা'র শারদীয়া সংখ্যার প্রকাশ অনুষ্ঠানে মমতা বুঝিয়ে দেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব যখন ঢুকতে পারছে না লখিমপুরে তখন একমাত্র তৃণমূলই লড়াই দিতে পেরেছে।তিনি বলেন,''লখিমপুরে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তৃণমূলই একমাত্র দল যার নেতৃত্ব পৌঁছতে পেরেছে। মৃত কৃষকদের বাড়িতে পৌঁছতে পেরেছিলেন দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং আবীর বিশ্বাসরা। অন্য কেউ পারেনি। এপথ-ওপথ করে লুকিয়ে সেখানে যেতে ১২ ঘণ্টা লেগেছিল। দোলা বলছে আমি পাঞ্জাবি সেজেছিলাম। এটা বড় ব্যাপার।''
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের বিবাদ। উপনির্বাচনের প্রচারে কংগ্রেসকে নিশানা করে গিয়েছেন মমতা-অভিষেক। দিল্লিতে ইডি-র জেরার পর অভিষেক বলেছিলেন,''বিজেপির ভয়ে কংগ্রেসের মতো তৃণমূল ঘরে ঢুকে থাকবে না।'' দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসকে পচা ডোবা বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী শিবিরের মুখ-প্রশ্নে কংগ্রেস-তৃণমূলের ফাটল যত চওড়া হবে, ততই লাভবান হবে বিজেপি।
আরও পড়ুন- 'বাংলা গানকে আরও ফাটাফাটি করার ভাবনাচিন্তা করছি!' অ্যালবাম প্রকাশ 'গায়িকা' Mamata-র