'রাজ্যপাল বাড়িয়ে বলছেন', ক্ষোভ উগরে হিংসায় নিহত সবাইকেই ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
"রাজ্যপালকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু প্রত্যেক পদেরই একটা সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল ভুল বলেছেন। বাংলার অবমাননা করেছেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে মৃতের সংখ্যা রাজ্যপাল বাড়িয়ে বলছেন বলে এদিন সুর চড়ানেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেয়ার স্কুলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন মঞ্চ থেকে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
হেয়ার স্কুলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ভোট পরবর্তী হিংসায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে সেটাকে বাড়িয়ে ১২ বললেন। রাজ্যপালের ভাষণকে সম্মান করি না।" মমতা বলেন, "আমি রাজ্যপালকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু প্রত্যেক পদেরই একটা সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা আছে। বাংলাকে অবমাননা করা হয়েছে। বাংলাকে বাঁচাতে চাইলে, বাংলার সংস্কৃতিকে বাঁচাতে চাইলে একজোট হন। বাংলা গুজরাট নয়। বাংলাকে গুজরাট বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে।"
এদিন বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচনের মঞ্চ থেকে মূর্তি ভাঙা, ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার জন্য বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জানান, রাজনৈতিক হিংসায় সকল নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মুখ্যসচিবকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি দেখে নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে কেন দলে? সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল বিজেপি কর্মীরা
বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করে এদিন বাংলায় নবজাগরণের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ভাষার যত্ন নিতে, বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দিতে বলেন তিনি। বাংলার মাটিতে থেকে বাঙালিকে অপমান করা, তাড়ানোর চেষ্টা হলে তিনি প্রাণ দিয়ে লড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। আরও বলেন, "কেউ মেসেজে থ্যাঙ্কস লিখলে তাঁকে উত্তরে জয় হিন্দ, জয় বাংলা লিখুন। তাহলে বাংলাটাকে একটু গুরুত্ব দেওয়া হবে। নিজের রাজ্যের প্রতি একটু মমত্ব থাকুক।"