কেন্দ্রকে প্ল্যানিং কমিশন খোঁচা মমতার, মুখ খুললেন দিদির দূতদের বিক্ষোভে পড়া নিয়েও!
নেতাজির ভাবনায় প্ল্যানিং কমিশন তৈরি হয়েছিল। আজ দুর্ভাগ্য তা আর নেই। না আছে কোনও প্ল্যানিং!
সুতপা সেন: নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে রেড রোডের অনুষ্ঠানে নাম না করে নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'নাম কামানোর জন্য আজকে অনেকে বলতেই পারেন শহিদ দ্বীপ এবং স্বরাজ দ্বীপ। কিন্তু কিন্তু আদৌ কিন্তু তা নয়। নেতাজি যেদিন আন্দামানে পা রেখেছিলেন, সেলুলয়েড জেল পরির্দশনে আন্দামান জেলে গিয়েছিলেন, সেদিন-ই নামকরণ করে এসেছিলেন।'
মমতা আরও বলেন, নেতাজি শুধু স্বাধীনতার কথা বলেননি। কীভাবে স্বাধীনতা দেশের জন্য নিয়ে আনতে হবে, সেই কথাও বলেছিলেন। আগামীর রূপরেখা তৈরি করে গিয়েছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি তৈরি করেছিলেন নেতাজি। জয় হিন্দ স্লোগানে সারা ভারতকে একত্রিত করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজির অবদান স্মরণ করার পাশাপাশি-ই নেতাজির প্রসঙ্গ টেনে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে ফের খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মমতা বলেন, নেতাজির ভাবনায় প্ল্যানিং কমিশন তৈরি হয়েছিল। আজ দুর্ভাগ্য তা আর নেই। সেই প্ল্যানিং কমিশটা-ই এখন নেই। প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়া হয়েছে! না আছে কোনও প্ল্যানিং। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর ফের কটাক্ষ, ২৬ জানুয়ারি শুধু তাঁদের জন্য পতাকা তুললে হবে না। স্বাধীন ভারতের ইতিহাস ও সংগ্রামকে বিকৃত না করে, মানুষের কাছে সঠিক ইতিহাসকেও তুলে ধরতে হবে।
একইসঙ্গে এদিন এলাকায় এলাকায় দিদির দূতদের বিক্ষোভের মুখে পড়ার ঘটনাতেও এদিন মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, 'মানুষের মধ্যে ক্ষোভ থাকলে তো বলবেই। এটাকে বিক্ষোভ বলবেন না। মানুষের গ্ৰিভ্য়ান্স থাকলে, মানুষ না বললে তো আমরা জানতে পারব না।'
আরও পড়ুন, নেতাজি জয়ন্তীতে নয়া ভারত নির্মাণে সংঘবদ্ধভাবে কাজের ডাক মোহন ভাগবতের