প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উনি ভালো ব্যবহার করেন, রাজ্যপালকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন বিজেপিকেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুতপা সেন: খানিকক্ষণ আগেই রাজ্যে চ্যালেঞ্জের মুখে কাজ করতে হচ্ছে বলে শাসক দলকে নিশানা করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়েও গিয়েছেন রাজ্যপাল। সবমিলিয়ে সংবিধান দিবসের উদযাপনে সংঘাতের আবহ। আর সেই আবহের রেশই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে।
নিজের ভাষণে কাশ্মীরে মোদী সরকারের নীতির প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ''রাজ্যপাল ভাষণে কাশ্মীর নিয়ে বেশি বললেন। অথচ বাংলা নিয়ে কম। উনি ভোর ৫টা থেকে টুইট করতে থাকেন। ওনার অনুষ্ঠানে যাইনি বলে রাগ।''
মমতা আরও বলেন,''ওনাকে তিনটি চিঠি দিয়েছি। গতকালও একটা চিঠি দিয়েছিলাম। একটা বিষয়ে আর কটা চিঠি দেব! কতগুলো দিবস আছে যেগুলো পালন করতেই হয়। প্রচারের জন্য উনি কি এসব করছেন?'' মমতা স্মরণ করিয়ে দেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী। এটা নির্বাচিত পদ। প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচিত। রাজ্যপাল কিন্তু মনোনীত। এর আগে এতজন রাজ্যপালের সঙ্গে কাজ করেছি। কারও সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়নি। আজকে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে? গণতন্ত্রের জন্য এটা ভালো নয়।
অতিসম্প্রতি রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্র বলে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রতিধ্বনিই শোনা গেল মমতার ভাষণ। বলেন,''কে, কেন কীজন্য ওনাকে এখানে পাঠিয়েছে, আমরা সবাই তা জানি। হেলিকপ্টার উনি যেদিন চেয়ে ছিলেন, সেদিন এখানে কেন্দ্রীয় দল বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে এসেছিল। আমাদের নিজস্ব হেলিকপ্টার নেই। জরুরি অবস্থায় আমরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে উনি ভালো ব্যবহার করেন।''
এদিন বিজেপিকেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,''সিনিয়র নেতারা কেন এতদিন জেলে আছেন? কার ইগো স্যাটিসফাই করতে গিয়ে এসব করা হচ্ছে? দেশ ভাঙছে কারা? কে কী খাবে ঠিক করে দেবে একটা দল? অনেকেই ভয়ে কোনও কথা বলতে পারছে না। আমি কারওর অঙ্গুলি-হেলনে চলি না। আমাকে ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে না।''
মমতা আরও বলেন, ''এখন তো দেখছি চামচিকে, রাঘববোয়াল সবাই থ্রেট করছে। কখনও এজেন্সির ভয় দেখানো হচ্ছে। কখনও অন্য কিছুর নামে ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু দেশে এখনও কিছু সাহসী মানুষ আছেন। কেউ যদি মনে করেন আমি যা বলব তাই করতে হবে সকালে বিকালে থ্রেট করবে, আমি ওই থ্রেটে ভয় পাই না।''
আরও পড়ুন- ছবি: নজিরবিহীন! কথা তো দূর, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখলেনই না রাজ্যপাল