নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। তাই ২ মে থেকে স্কুলে স্কুলে গরমের ছুটি। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বাচ্চাদের গরমে সমস্যা হচ্ছে। কষ্ট পাচ্ছে। অনেক বাচ্চার নাক দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। ২ মে থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দাও।" শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ সতর্কতা জারি থাকছে আরও ২-৩ দিন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম সহ ৫ জেলায় জারি থাকছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। অন্যদিকে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রভৃতি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা না থাকলেও তাপপ্রবাহের মত পরিস্থিতি থাকবে।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পারদ ৪০-এর কোঠায়। অন্যান্য বছরও এরকম তাপমাত্রা থাকে, কিন্তু এবার একেবারে রাজ্যের ১২টা জেলায় তাপপ্রবাহ! সেই উদাহরণ কম। প্রবল গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। চারদিকে শুধু ত্রাহি ত্রাহি রব। হাঁসফাঁস দশা জনজীবনের। গরেমর হাত থেকে বাঁচতে একটু বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আট থেকে আশি।
এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা দাবি জানিয়েছেন, স্কুলগুলির সময় এগিয়ে আনার জন্য। সকালে স্কুলের জন্য। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সরকারি, বেসরকারি- সব স্কুলের সময়সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ১ ঘণ্টা কমানো হয়েছে সময়সীমা।
একই পথে হেঁটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদও।নির্দেশিকা জারি করে বুধবার থেকেই ১ ঘন্টা সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার 'আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে' জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৩ পড়ুয়া। প্রবল গরমে ডিহাইড্রেশন হয়ে গিয়েছে তাদের। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা, ২ মে থেকে গরমের ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর