লকেট খুইয়ে মালা পেল তৃণমূল, ৮৮ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রতীকে ভোট লড়বেন মালা
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কলকাতার ৮৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মালা রায়। কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের ইতি টানতে চলেছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর।
ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কলকাতার ৮৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মালা রায়। কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের ইতি টানতে চলেছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর।
কলকাতা পুরসভা ভোটের দামামা বাজতেই শুরু হয়ে গিয়েছে দল বদল। কলকাতার ইতিহাসে এই ঘটনা নতুন নয়। তবে মালা রায়ের মত পোর খাওয়া রাজনীতিবিদ শেষ পর্যন্ত তৃণমূলে যোগদান করবেন তা অনেকটাই অপ্রত্যাশিত ছিল। রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থান ৭৭ সালের পর থেকেই অধগতিত। কংগ্রেস ভেঙে বাংলা কংগ্রেস। পরে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূল তৈরি করেন সেই সময়ের যুব নেত্রী বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর দল ছেড়েছেন একে একে অনেকেই। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্রও একসময় দোল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ডায়মন্ড হারবার থেকে তৃণমূলের টিকটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন ছোড় দা। কিন্তু আবার ঘরে ফিরেছেন তিনি। তৃণমূল ছেড়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে কংগ্রেসে ফিরেছেন সৌমেন মিত্র। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী বিধায়ক শিখা মিত্রও ফিরেছেন কংগ্রেসে। ঘর ছেড়ে আবার ঘরে ফেরার লম্বা তালিকায় রয়েছেন অনেকেই। যেমন রয়েছেন অরুণাভ মিশ্র।
আজ কলকাতার মেয়র শোভন চট্টপাধ্যায়ের গাড়িতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে নবান্নতে বৈঠক করলেন মালা রায়। কংগ্রেস নয়। ৮৮ নং ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের প্রতীকে ভোটে লড়বেন মালা রায়।
কে কার? এই টানাটানিতে বিজেপি এখন সবার ওপরে। কংগ্রেস থেকে নিজেদের ঘরে তুলেছেন জয়প্রকাশ মিশ্রকে। তৃণমূলের গলার লকেট খুলে নিজের গলায় পরেছে বিজেপি। এবার অন্য ছবি। তৃণমূল দল সারদার মত কেলেঙ্কারিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। কলকাতা পুরসভা ত্রিফলায় বিদ্ধ। এহেন তৃণমূলে যাওয়ার পেছনে কী কারণ রয়েছে তা অনেকর মধ্যেই জিজ্ঞাসা তৈরি করেছে।
কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী মনে করছেন, "কে দলে থাকবেন আর কে থাকবেন না, তা তিনি ঠিক করে দেবেন না। তৃণমূল থেকে নিশ্চয়ই কিছু পাবেন, তাই যাচ্ছেন। আমি কথা বলে কাউকে আটকানোর পক্ষপাতি নই।"
মান্নান হোসেন, মানস ভুঁইয়া, প্রদীপ ঘোষরা এর আগেও এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। তবে সেই ঘরানার এক্কেবারে ১৮০ ডিগ্রী বিপরীতে রয়েছেন অধীর চৌধুরী। মালা রায়কে ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হবেন না কংগ্রেস সভাপতি ।