মদন মিত্রর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ককে জেরায় কী কী প্রশ্ন করল সিবিআই
আড়াই ঘণ্টা ধরে বাড়িতে জেরার পর সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় দফায় টানা পাঁচ ঘণ্টা জেরা করা হয়
ওয়েব ডেস্ক: ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বাপি করিমকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। আড়াই ঘণ্টা ধরে বাড়িতে জেরার পর সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় দফায় টানা পাঁচ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। সিবিআই সূত্রে খবর, যে সমস্ত প্রশ্নের মুখে বাপিকে পড়তে হচ্ছে, তার বেশিরভাগই মন্ত্রী মদন মিত্র সম্পর্কিত। জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মন্ত্রীর সম্পর্ক নিয়েও।
সারদাকাণ্ডে দেশজোড়া সিবিআই তল্লাসি চলল বৃহস্পতিবার। তবে সবচেয়ে আলোড়ন পড়ে যায় বাপি করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের খবরে। দু-বছর আগে পর্যন্ত ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের আপ্ত সহায়ক ছিলেন তিনি।
সিবিআই সূত্রে খবর, বাপি করিমকে জেরা-পর্বের সিংহভাগ জুড়ে ছিল মন্ত্রী মদন মিত্রের নাম।
বাপিকে যা প্রশ্ন করা হয়, সেগুলি নিচে দেওয়া হল
১) মদন মিত্রের সঙ্গে তাঁর ঠিক কী সম্পর্ক?
২) মন্ত্রীর হয়ে কী কী কাজ করতে হত তাঁকে?
৩) মদন মিত্র কার কার সঙ্গে বৈঠক করতেন?
৪) তাঁর নামে কি কোনও সম্পত্তি কিনেছিলেন মন্ত্রী?
৫) তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মন্ত্রী কোনও লেনদেন করেছেন কি?
৬) মদন মিত্রের কাছ থেকে কী কী সুযোগ সুবিধা পেতেন তিনি?
৭) কারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন? সেখানে কী কথা হত?
সারদা, সুদীপ্ত সেন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় বাপি করিমকে।
সেগুলি হল-
১) সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে কোথায়, কতবার দেখা করেছেন মদন মিত্র?
২) সারদার সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি?
৩) এ সম্পর্কে তিনি কী কী জানেন?
কলকাতায় আয়োজিত দুটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। ম্যাচগুলির আয়োজনে সারদার সঙ্গে কি কোনও আর্থিক যোগাযোগ হয়েছিল?
এ প্রশ্নেও জেরা করা হয় বাপি করিমকে।
আড়াই ঘণ্টা ধরে জেরার মাঝে। বিভিন্নি দিক খতিয়ে দেখেন সিবিআই গোয়েন্দারা
মোমিনপুরে বর্ন ফিল্ড রো-এ বাপি করিমের বাড়িতে চিরুণি তল্লাসি চালিয়ে এদিন বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।
বাড়ির দলিল, গাড়ির কাগজপত্র, সম্পত্তির খতিয়ান, ব্যাঙ্কের পাস বই, চেক বই, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র--সবকিছু খুঁটিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা। এরপরই তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাড়িতে জেরার পর সোজা সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় পরিবহণমন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ককে। দ্বিতীয় দফায় সেখানেও চলে ম্যারাথন জেরা।