ভেঙে পড়লেও আর হাসপাতাল নয়, এবার জেলেই ফিরতে চান মদন
হাসপাতাল নয়, ফের জেলেই ফিরতে চান মদন মিত্র। জামিন খারিজের পর ঘনিষ্ঠ মহলে এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী । দুপুরে হাসপাতালে জামিন খারিজের খবর পেয়েই ভেঙে পড়েন তিনি।
সকাল ১০টা
সকাল থেকেই শরীরটা ভাল ছিল না। একটু শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল। সকাল দশটা নাগাদ ডাক্তার আসেন। প্রেসার খুব বেশি। চিকিতসকরা আলো নিবিয়ে শুয়ে থাকার পরামর্শ দেন । নিবিয়ে দেওয়া হয় সাড়ে বারো নম্বর ঘরের কেবিনের আলো।
বেলা ১১টা
বড় ছেলে আসেন বাবার সঙ্গে একবার দেখা করতে। ততক্ষণে কেবিনে পৌছে গেছেন স্ত্রী, পুত্রবধূ, নাতনি। সাতসকালে দক্ষিণেশ্বের পুজো দিয়ে পৌছে গেছেন তার ঘনিষ্ঠ অনুগামীরাও। আদালতে জামিন লাভের প্রার্থনা নিয়ে মা ভবতারিনীর পুজো হয়েছে হাসপাতালের কেবিনেও।
বেলা ১১.৩০মি:
কোর্টে সওয়াল শুরু কপিল সিব্বলের। প্রতিমুহূর্তের আপডেট ঘনঘন আসতে শুরু করে পিজির উডবার্ন ওয়ার্ডে। উত্কণ্ঠার পারদ তখন চড়ছে।
দুপুর ১:১০মি:
বিচারকের রায় ঘোষণা। জামিন খারিজ। ফোনটা উডবার্নে আসতেই কার্যত স্থবির হয়ে যান সকলে। সকলের মুখে একটাই কথা এবারও হল না? অনেক আশা নিয়ে কপিল সিব্বলের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন মদন পুত্র। কাগজপত্র দেখে সিব্বল সাহেব কথাও দিয়েছিলেন জামিন পেতে অসুবিধা হবে না। মন্ত্রিত্ব ছাড়তেও রাজি ছিলেন মদন । কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই জামিন খারিজ?
বেলা ২.৩০মি:
আইনজীবীরা আসেন মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা করতে। সামান্য কথা বলে কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে যান তাঁরা। আবার নতুন করে আইনি লড়াইয়ের তোড়জোড়। এবার কপিল সিব্বলের পাশাপাশি রাম জেঠমালানিকেও রাজি করানোর চেষ্টা হচ্ছে এমনটাই খবর।